আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এতে দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের দাম কম থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশ্বখ্যাত হেরাইয়াস প্রিসিয়াস মেটালসের কম্মোডিটি বিশ্লেষকরা এ পূর্বাভাস দিয়েছেন।
কানাডাভিত্তিক প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম কিটকোর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার (৩ জুলাই) মূল্যবান ধাতু গবেষণা সংস্থাটি সবশেষ রিপোর্টে জানিয়েছে, চলতি জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে আবারও সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল।
গত মাসে মার্কিন অর্থনীতির ইতিবাচক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাতে আরও সুদের হার বৃদ্ধির প্রত্যাশা বেড়ে গেছে।
ক্রেতাদের উদ্দেশে লেখা এক নোটে বিশ্লেষকরা লিখেছেন, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বাকি সময় সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে ফেড। নতুন বছরের (২০২৪ সাল) মে মাসে তাতে বিরতি দিতে পারে তারা। ফলে পরবর্তী টানা ১০ মাস স্বর্ণের দাম কম থাকতে পারে।
নেপথ্য কারণ দেখিয়ে তারা বলছেন, এসময়ে ইউএস মুদ্রা ডলারের মূল্যমান ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। ফলে নন-ইল্ডিং সম্পদের আকর্ষণ কমে যাবে।
গত মে’তে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক খাতে ধস নামে। এরপর থেকেই স্বর্ণের দর নিম্নমুখী থাকছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বর্তমানে প্রতি আউন্সের দাম ১৯০০ ডলারের ওপরে স্থির হয়েছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৯১৯ ডলার।
তারা বলেন, মে মাসের শুরুতে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দর সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। সেসময় প্রতি আউন্সের দাম ওঠে ১৯৭০ ডলারে।বিশ্ব ইতিহাসে অদ্যাবধি আউন্সপ্রতি স্বর্ণের সর্বোচ্চ মূল্য উঠেছে ২০৭৫ ডলারে। ২০২০ সালে এ স্তরে পৌঁছে দুঃসময়ের বন্ধু ধাতুটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।