জুমবাংলা ডেস্ক : ২৩ জুলাই মধ্য রাতে শেষ হয়েছে ৬৫ দিনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরেই চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম।
এ ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছে না জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ, জেলেরা খুব অল্প মাছ নিয়ে ফিরে আসছেন। ঠিক এসময় পাথরঘাটার একটি ট্রলারে ৭৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে আর তা বিক্রি হয়েছে ১৮ লাখ টাকায়।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির মালিকানাধীন এফবি সাফওয়ান নামের একটি ট্রলারে জেলেদের জালে উঠে এসেছে ৭৫ মণ রুপালি ইলিশ।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে এফবি সাফওয়ান ট্রলারের মাঝি মো. মহসিন মিয়ার বরাত দিয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রলার মালিক মোস্তফা গোলাম কবির।
এর আগে সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গভীর সমুদ্র থেকে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে ফিরে আসে ট্রলারটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে বাজার সওদা করে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ শিকারের উদ্দেশে পাঠান মালিক মোস্তফা গোলাম কবির। এর পরেই মাঝি মহসিন মিয়া বঙ্গোপসাগরের গভীরে জাল ফেলতেই উঠে অসে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন দেখা মিলছে না জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ, সে সময় মহসিন মিয়া ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে এসেছেন। এদিকে অন্য ট্রলারের জেলেরা মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসছেন ঘাটে।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির মোবাইল ফোনে জানান, বর্তমান সময়ে ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন জেলেদের জালে মিলছে না ইলিশের দেখা সে সময়ই আমার জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে এসেছেন। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি তিনি চাইলে সব হয়। তিনি আরও জানান, রাতেই মাছগুলো বিক্রি করার জন্য বাগেরহাট পাঠিয়ে দিয়েছি সেখানে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জেলেরা মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়েই ফিরে আসছে ঘাটে। খুব সমস্যার মধ্যেই তাদের দিন কাটছে, এরই মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারের জেলেরা ৭৫ মণ ইলিশ পেয়েছে, এটাতো আমাদের জন্য খুশির খবর। মনে হয় ধীরে ধীরে মাছ ধরা পরতে শুরু করবে জেলেদের জালে। সব জেলেরা এ পরিমাণ মাছ পেলে ট্রলার মালিকরা পেছনের ধারদেনা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছি।
গভীর রাতে নায়কের বাড়িতে যেতে পারলে বড় নায়িকা হতে পারতাম : মল্লিকা
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, গভীর সমুদ্রে এখন প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে এবং ওই ইলিশের সাইজেও এখন বড়। তবে উপকূলের কাছাকাছি এখনও অনেক কম মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করছি সামনের সময় জেলেদের জলে আরও ইলিশ ধরা পরবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।