স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে এবার আঁকা হলো ম্যারাডোনার ১৪৮ ফিট উচ্চতার এক প্রতিকৃতি। বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত ম্যারাডোনার সব প্রতিকৃতির মধ্যে সবচেয়ে বড় এটি। যার উচ্চতা স্ট্যাচু অব লিবার্টির কাছাকাছি। কিছুদিনের মধ্যেই পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে এটি। প্রতিকৃতিতে আছে তিনটি তারা। যার একটি দিয়ে বোঝানো হয়েছে ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ।
ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু তার রেখে যাওয়া ফুটবলীয় স্মৃতিগুলো আজও যেন তরতাজা। ম্যারাডোনা স্মরণে আর্জেন্টিনায় তার ভক্তরা বিভিন্ন সময় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছেন। এবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে নেয়া হলো এমনই এক উদ্যোগ, যা ছাপিয়ে গেছে ম্যারাডোনার আগের সব প্রতিকৃতিকে।
বুয়েন্স আয়ার্সের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি দালানের ১৭ হাজার স্কয়ার ফিট দেয়ালে আঁকা হয়েছে ম্যারাডোনার প্রতিকৃতি। মূলত ম্যারাডোনার ৬২তম জন্মদিনে তাকে উৎসর্গ করতেই তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিকৃতি, যা নেয়া হয়েছে ১৯৯০ বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যারাডোনার খেলার একটি ছবি থেকে।
আর্জেন্টাইন চিত্রকর মার্টিন রনসহ মোট ৭ জনের একটি দল ২৫ দিন ধরে আঁকছেন ম্যারাডোনার প্রতিকৃতিটি। যেটি আঁকতে রং লেগেছে ৮০০ লিটার। নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টির কাছাকাছি উচ্চতার এই প্রতিকৃতিটি ম্যারাডোনার সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি বলে জানান রন।
মুরালিস্ট মার্টিন রন বলেন, ‘এটাকে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিত্রকর্ম বলতে পারি। কারণ এর উচ্চতা ১৪৮ ফিট এবং প্রস্থ ১৩১ ফিট। মোট ১৭ হাজার স্কয়ার ফিটের চিত্রকর্ম এটি, যা অবিশ্বাস্য বটে।’
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ম্যারাডোনার আদর্শকে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ বলে জানান চিত্রকর মার্টিন রন। মার্টিন রন বলেন, ‘একজন ফুটবলার হিসেবে ম্যারাডোনাকে সবাই চেনে। কিন্তু এর বাইরে একজন মানুষ হিসেবে ম্যারাডোনা কেমন ছিলেন তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম এই চিত্রকর্ম। ম্যারাডোনা শুধু একজন ভালো ফুটবলারই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন যোদ্ধা। সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে নিজেকে পরিচিত করেছিলেন এক কিংবদন্তি হিসেবে।’
ম্যারাডোনার চিত্রকর্মটিতে রয়েছে তিনটি তারা, যার একটি দিয়ে এবারের কাতার ফুটবল বিশ্বকাপকে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর বাকি দুই তারার মাধ্যমে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।