আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কথায় আছে ‘উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’। দেশের ভেতর অরাজকতা তৈরি করতে এবং সরকারকে চাপে ফেলতে শেষ পর্যন্ত নারীকে নিশানা বানিয়েছে এক যুবক। একের পর এক নারী হত্যা করে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। তরুণের বয়স মাত্র ৩৩ বছর। এই বয়সেই গত দুই বছরে ৪২জন নারীকে হত্যা করে ‘ক্রমিক খুনি’র খাতায় নাম লিখিয়েছে। ওই তরুণের নাম কলিন্স জুমাইসি খালুশা।
খালুশার ভাষ্য—নারীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাত করে তারপর সময় সুযোগ বুঝে হত্যা করে সে।এরপর হতভাগ্য সেসব নারীর লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ফেলে দেন ময়লার স্তূপে।
কিন্তু কেন এমন হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে ওই যুবক সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি দেশটির প্রশাসন। প্রশাসন ধারনা করছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর ওপর চাপ তৈরি করার জন্য ক্রমিক খুন চালানো হতে পারে।
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির ময়লায় স্তূপ থেকে একযোগে ৯ নারীর লাশ উদ্ধার হওয়ার পরে দক্ষিণ আফ্রিকার এই দেশটির প্রশাসন অপরাধীকে ধরতে তৎপর হয়। এরপর চলতি সপ্তাহের রোববারে একটি পানশালার সামনে থেকে তাকে আটক করে।
এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর দেশটির এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে দেশটির স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা রাস্তায় নেমে এসেছেন। তবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে।
দেশটির অপরাধ তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান মোহাম্মদ আমিন সাংবাদিকদের ভাষ্য, সন্দেহভাজন ব্যক্তি স্বীকার করেছেন, তিনি প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের হাত করার পরে তাদের হত্যা করে লাশ ময়লার স্তূপে ফেলে দিতেন। এখন পর্যন্ত তিনি ৪২ নারীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।
ওয়াশিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, কেনিয়ার স্বাধীন পুলিশ ওয়াচডগ বলেছে ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পুলিশ জড়িত আছে কিনা বা নারী হত্যা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে’ তা খতিয়ে দেখছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।