স্পোর্টস ডেস্ক : মাশরাফি সিলেটের নেতৃত্বে। যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর খেলছেন তার অধীনে। প্রথমবার মাশরাফির নেতৃত্বে খেলছেন সদ্য ২১ পেরুনো আকবর।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মঞ্চে মাশরাফির অধিনায়কত্ব, নেতৃত্বগুণ, নেতার মনোভাব, আগলে রাখা, স্বাধীনতা দেওয়ার কথা শুনে এসেছেন আকবর। এবার সিলেটের জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাশরাফির সান্নিধ্য পেয়ে স্রেফ অভিভূত উইকেটরক্ষক এ খেলোয়াড়।
বলছেন, মাশরাফির প্রথম দিনের কথায় হৃদয় বড় হয়ে গেছে তার। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাশরাফির উঠা বসা নতুন নয়। বয়সের ব্যবধান যতই হোক তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে পথ চলতে পছন্দ করেন। কোনো দূরত্ব না রেখে তাদের এগিয়ে যাওয়ার তাড়ণা দেন, স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ দেন। তাতে তরুণ ক্রিকেটাররাও মন খুলে খেলার সুযোগ পান।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসানই যার প্রমাণ। দুই তরুণের থেকে সেরাটা বের করে আনার পেছনে তার পূর্ব পরিকল্পনা, মাঠে তা বাস্তবায়ন বড় ভূমিকা রেখেছে। তারা দুজনই তা বলেছেন গণমাধ্যমে।
চট্টগ্রামে রোববার আকবর আলীও একই কথা শোনালেন, ‘প্রথমবারের মতো মাশরাফি ভাইয়ের দলে খেলছি। তার সঙ্গে আমাদের প্রথম যখন কথা হয়, তখনই আমাদের হার্ট অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল। যখন তিনি আমাদেরকে আমাদের ভূমিকাগুলো বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোরা যা করবি কর, নিজেদেরকে এক্সপ্রেস কর।’ অধিনায়ক যখন প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে ব্যাক করে তখন পারফর্ম করাটা সহজ হয়ে যায়।
যুব দলে অধিনায়ক থাকাকালীন আকবরও সতীর্থদের ঠিক একইভাবে এগিয়ে নেওয়ার প্রেরণা দিতেন। তবে যুব দল পেরিয়ে পরবর্তী ধাপগুলো অনেক কঠিন। সেখানে অধিনায়কত্ব করার কাজটা সহজ থাকে না। জাতীয় ক্রিকেট লিগে রংপুর বিভাগকে ও ঢাকা লিগে গাজী গ্রুপকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সামনে তার অবারিত সুযোগ।
অধিনায়ক হিসেবে পায়ের নিচের মাটি শক্ত করতে মাশরাফির নেতৃত্বগুণ আয়ত্বের বিকল্প দেখেন না আকবর, ‘তার নেতৃত্বগুণ যেটা তার বড় হাতিয়ার, সেটা সবাই আয়ত্ব করতে চায়। আমিও চাই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।