জুমবাংলা ডেস্ক : রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। ঈদ সামনে রেখে ময়মনসিংহের কাঁচাবাজারে ক্রেতার চাপ তেমন না থাকলেও বেড়েছে বেশ কয়েক প্রকার সবজির দাম। শসার দাম একদিনের ব্যবধানে ৬০ টাকা থেকে হয়েছে ১২০ টাকা। আর কাঁচামরিচ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। সেইসঙ্গে বেড়েছে গাজর, বেগুনের দামও।
শনিবার (৯ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহ মহানগরীর প্রধান মেছুয়া বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, একদিন আগেও শসার দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হলেও ঈদের আগের দিন চাহিদা বেশি থাকায় ১২০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচামরিচ ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ এবং বেগুনের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, টমেটো ১৬০, গাজর ১০০, পেঁপে ২৫, বরবটি ৬০, কুমড়া ৬০, পটল ৬০, লাউ ৬০, লেবু ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, সবাই কোরবানির পশু কেনা নিয়ে ব্যস্ত। তাই মুরগির বাজার স্থিতিশীল। তবে, দেশি মুরগি ৭০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ১৪০, সোনালী মুরগি ২৫০, সাদা কক ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর কৃষ্টপুর সবজি কিনতে থেকে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল শসা ৭০ টাকা কেজি কিনেছি। তবে, আজ শসা কিনেছি ১২০ টাকা। এদিকে, কাঁচামরিচও দুইদিনের ব্যবধানে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা কেজি কিনেছি। ঈদের অজুহাতে এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বাজার যতি নিয়মিত মনিটরিং করা হতো তাহলে ব্যবসায়ীরা হুটহাট এভাবে দাম বাড়াতে পারতো না।
একই বাজারের মাংস বিক্রেতা আলম বলেন, গরু ও খাসির মাংসের দাম এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে। গরুর মাংস ৬৫০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। সন্ধ্যার পর ক্রেতার চাপ বাড়লে দামও কিছুটা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একদিনে শসা-কাঁচামরিচের দাম দ্বিগুণ, বেড়েছে বেগুনেরও এদিকে, ফার্মের মুরগির ডিম ৪০, হাঁসের ডিম ৬০ এবং দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।