বর্তমানে স্মার্টফোনে একাধিক ক্যামেরা লেন্স থাকা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মূল কারণ হলো, স্মার্টফোনে ডিএসএলআর-এর মতো লেন্স বদলানোর সুবিধা থাকে না। তাই ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য নির্মাতারা বিভিন্ন ধরনের লেন্স একসঙ্গে যুক্ত করে দেন।
স্মার্টফোনে একাধিক ক্যামেরা লেন্স থাকার কারণ
১. লেন্স বদলানো যায় না
ডিএসএলআর ক্যামেরায় প্রয়োজন অনুযায়ী লেন্স বদলানো যায়। যেমন আপনি চাইলে পোর্ট্রেট, ল্যান্ডস্কেপ, ম্যাক্রো, টেলিফটো ইত্যাদি কাজের জন্য আলাদা আলাদা লেন্স ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু স্মার্টফোনে লেন্স বদলানো সম্ভব নয়। তাই একাধিক নির্দিষ্ট কাজের উপযোগী লেন্স ফোনেই যুক্ত করে দেওয়া হয়।
স্মার্টফোনে সাধারণত যে ধরনের লেন্স থাকে
মেইন (ওয়াইড) লেন্স
প্রতিদিনের সাধারণ ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই লেন্সে ছবির গুণমান সবচেয়ে ভালো হয়ে থাকে।
আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স
এক ফ্রেমে বেশি জায়গা ধরতে সাহায্য করে। গ্রুপ ফটো, বড় বিল্ডিং বা প্রাকৃতিক দৃশ্য তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়।
টেলিফটো লেন্স
দূরের বস্তু জুম করে পরিষ্কারভাবে তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে অপটিক্যাল জুমের মাধ্যমে ছবি বড় করা যায়, কোয়ালিটি নষ্ট না করেই।
ম্যাক্রো লেন্স
খুব কাছ থেকে ছোট বস্তু যেমন পোকামাকড় বা ফুলের বিস্তারিত ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ডেপথ সেন্সর বা টাইম অফ ফ্লাইট (ToF) সেন্সর
পোর্ট্রেট মোডে ছবি তোলার সময় ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি বিষয়বস্তুর দূরত্ব বুঝে ফোকাস নির্ধারণ করে।
ডিএসএলআর-এ কীভাবে এই কাজগুলো হয়?
ডিএসএলআর ক্যামেরায় একসঙ্গে একটি লেন্স ব্যবহার করা গেলেও আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী লেন্স পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন:
- পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির জন্য ৫০mm বা ৮৫mm প্রাইম লেন্স
- ল্যান্ডস্কেপের জন্য ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স
- ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির জন্য ম্যাক্রো লেন্স
- দূরবর্তী বিষয়বস্তুর জন্য টেলিফটো লেন্স
ডিএসএলআর-এর প্রতিটি লেন্সই শক্তিশালী ও নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি, যদিও তা বহন করতে কিছুটা ঝামেলা ও ব্যয়বহুল।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের সময় ড. ইউনূসের পাশে থাকা কে এই তরুণী
ফোনে একাধিক ক্যামেরা লেন্স থাকা মানে আপনি এক ডিভাইস দিয়েই বিভিন্ন ধরণের ছবি তুলতে পারবেন, কোনো লেন্স বদলানো ছাড়াই। ডিএসএলআর-এর মতো ছবি তোলা সম্ভব না হলেও, এই লেন্সগুলোর সমন্বয়ে স্মার্টফোন এখন অনেক ভার্সেটাইল হয়ে উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।