বিনোদন ডেস্ক : সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ১ নভেম্বর পঞ্চাশে পা দিয়েছেন। অভিনেত্রীর জন্মদিনে বিগ বি’সহ বচ্চন পরিবারের সদস্যরা ছিলেন একদম নীরব। স্বামী অভিষেক ছাড়া বচ্চন পরিবারের অন্য কোনো সদস্য ঐশ্বরিয়াকে শুভেচ্ছা জানাননি। এমনকি নাতনি আরাধ্যর ১২তম জন্মদিনেও অমিতাভ বচ্চন কোনো পোস্ট করেননি।
ভারতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, এখন ঐশ্বরিয়া মায়ের বাড়িতেই বেশি সময় থাকছেন। বচ্চন পরিবারের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের, এমন খবর বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে।
ঘটনার শুরু অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্যারিস ফ্যাশন উইক থেকে। প্যারিস ফ্যাশন উইকে ল’রিয়ালের হয়ে দীর্ঘদিন পর র্যাম্পে ফেরেন ঐশ্বরিয়া। একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নভ্যা নভেলি নন্দা। নভ্যাও ল’রিয়ালের হয়েই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তবে নভ্যা ও ঐশ্বরিয়াকে দেখা যায়নি এক ফ্রেমে।
এছাড়া নভ্যার সঙ্গে প্যারিসে গিয়েছিলেন তার মা শ্বেতা বচ্চন ও নানি জয়া বচ্চন। প্যারিস ফ্যাশন উইক নিয়ে শ্বেতার ইনস্টাগ্রাম পোস্টেও ঐশ্বরিয়ার কথা উল্লেখ ছিল না।
বচ্চন পরিবারের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের টানাপোড়েনের গুঞ্জন আরও জোরালো হয় অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনে ঐশ্বরিয়ার পোস্টকে ঘিরে। বিগ বি’র ৮১তম জন্মদিনে মেয়ে আরাধ্য ও অমিতাভ বচ্চনের একটি ছবি পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়া। মূল ছবিতে জয়া বচ্চন, নভ্যা নন্দা ও অগস্তা নন্দাও ছিলেন। তবে সেই ছবি থেকে জয়া, নভ্যা ও অগস্তাকে ক্রপ করে পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়া। তখন নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন জাগে- বচ্চন পরিবারে সব ঠিক আছে তো?
মনীশ মালহোত্রার দীপাবলির অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া একা উপস্থিত হয়েছেন। এ থেকে তাদের পারিবারিক কলহের গুজব আরও জোরদার হয়। এছাড়া বচ্চন পরিবারের দীপাবলির পূজায়ও অনুপস্থিত ছিলেন ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্য, পূজার কয়েক ঘণ্টা আগে তাদের মুম্বাই ছাড়তে দেখা গেছে।
ভারতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, তবে এসব গুঞ্জন নিয়ে বরাবরের মতোই চুপ ঐশ্বরিয়া। তাই এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ২০০৭ সালে গাঁটছাড়া বাঁধেন। ২০১১ সালে জন্ম হয় তাদের একমাত্র মেয়ে আরাধ্য বচ্চনের। ঐশ্বরিয়াকে সর্বশেষ মনি রত্নমের ‘পনিইন সিলভান ২’ ছবিতে দেখা গেছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।