বিনোদন ডেস্ক : শনিবার দুপুরে নোবেলের মাদক সম্পৃক্ততা নিয়ে বলতে গিয়ে সালসাবিল বলেন, একজন এয়ার হোস্টেস নোবেলকে মাদক সাপ্লাই দেয়। ফলে সে প্রচণ্ড মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে।
সালসাবিল বলেন, নোবেলের সঙ্গে সংসার করেছি, সে খুব ভালো একজন মানুষ। কোনো কারণে একটা চক্রের মধ্যে জড়িয়ে খুবই মাদকাসক্ত হয়ে যায়। এর পরে তার ব্যবহারে পরিবর্তন আসে এবং সে অন্যরকম মানুষে পরিণত হয়, মাদকাসক্ত মানুষে পরিণত হয়। এর পর যে ঘটনাগুলো ঘটে, সেটা নেশার ফলশ্রুতিতে এ ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাকে প্রচণ্ড মারধর করা হতো, তখন আমি গুলশান থানায় একটা জিডি করেছিলাম। একদিন প্রচণ্ড যখন মেরেছে তখন আমি ৯৯৯-কল দিই। সেখানে ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ চলে আসে, তখন তারা এসে নোবেলকে ঠেকিয়ে আমাকে বাঁচায়। তখন তারা নোবেলকে জিজ্ঞেস করে— কেন মারছেন? নোবেল তাদেরকে বলে- আমি আসলে অনেক ধরনের জিনিস খাই, আমার মাথা ঠিক থাকে না, তাই আমি তাকে মারি।
এর পর ওখান থেকে আমাকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন আমি গুলশান থানায় একটা জিডি করি। এর পর আমি আর আইনগতভাবে এগোইনি। কারণ আমি চাচ্ছিলাম কোনোভাবে সে নেশাটা থেকে বের হয়ে আসুক একটা সুস্থ জীবনযাপন করুক। আমার উদ্দেশ্য তাকে শাস্তি দেওয়া ছিল না। আমার উদ্দেশ্য ছিল সে যেন ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে।
নোবেলের সঙ্গে যুক্ত মাদকচক্র ও গায়কের নারী সম্পৃক্ততা নিয়ে সালসাবিল বলেন, মেয়েদের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় আমি কখনো দেখিনি তাকে। কিন্তু তাদের চক্রে একটা এয়ার হোস্টেজ চক্র কাজ করে, যেখান থেকে একজন তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এবং তাকে যত ধরনের মাদক সে তাকে সাপ্লাই দেয়।
প্রসঙ্গত, প্রতারণার অভিযোগে কণ্ঠশিল্পী নোবেলকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এর পরই ডিবি অফিসে উপস্থিত হন সদ্য তালাকের নোটিশ পাঠানো স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নোবেলের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।