আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাঁজা পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করতে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর। এ নিয়ে দেশটিতে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অভিযুক্তের নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়া। এ ঘটনায় অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, দুর্বল প্রমাণের ভিত্তিতে তাঙ্গারাজুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে সরকারের দাবি, সুর্নিদিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই বুধবার (২৬ এপ্রিল) তার মৃত্যুদণ্ডের দিন ধার্য করা হয়েছে। খবর বিবিসি’র।
মাদকের অভিযোগে গত বছর একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সিঙ্গাপুর সরকার। ওই ঘটনায় সেসময় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এশিয়ার সিঙ্গাপুরে একাধিক কঠিন মাদকবিরোধী আইন রয়েছে। দেশটির সরকারের ভাষ্য, সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এমন আইন।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাঙ্গারাজু সুপিয়ার ফাঁসির সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুর’ অ্যাখ্যা দিয়েছে।
তার ক্ষমা চেয়ে কয়েদিন আগে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকবকে শেষ মুহূর্তে একটি চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন পরিবার ও অ্যাক্টিভিস্টরা। তার আগে ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ এবং মামলার পর্যালোচনার আহ্বান জানান দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
ফাঁসি কার্যকরের সময় ঘনিয়ে আসায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। এ বিষয়ে তার বোন লীলা সুপ্পিয়া সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, আমি জানি আমার ভাই ভুল করেনি। মামলার শুরু থেকেই আমি আদালতকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম।
আধা কেজি পরিমাণ গাঁজা নিজের কাছে রাখলে সিঙ্গাপুরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়ে থাকে। ২০১৮ সালে তার মৃত্যুদণ্ড হয় এবং আপিল আদালত সেই রায় বহাল রাখেন।
২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে ১ কেজি গাঁজা সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হন তিনি। কিন্তু গাঁজা সরবরাহের সময় তিনি ধরা পড়েননি তাঙ্গারাজু। প্রসিকিউটরদের দাবি, তিনি পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।