জুমবাংলা ডেস্ক : পূর্বপরিকল্পিতভাবে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে অটোরিকশাচালক মোস্তফাকে (১৮) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। লাশ উদ্ধারের তিন দিন পর এ ঘটনার হোতাসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব-১০। তাদের স্বীকারোক্তির বরাতে সংস্থাটির কর্মকর্তারা শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
উপজেলার দক্ষিণ মেদিনীমণ্ডল গ্রামের মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা জিন্নাত আলী মাদবরের ছেলে মোস্তফা (১৮)। রোববার বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। রাতে মোস্তফার ফোন বন্ধ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। গ্যারেজ মালিকের কাছে জানতে পারেন, মোস্তফা সন্ধ্যা ৬টায় অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছেন।
পরদিন সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, উপজেলার হলদিয়ার তিন দোকান এলাকায় একটি ডোবায় গলায় রশি পেঁচানো অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ পড়ে আছে। মোস্তফার বাবা ও স্বজনরা সেটি শনাক্ত করেন। লৌহজং থানা পুলিশ সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিন্নাত আলী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-১০ জানায়, তাদের একটি দল র্যাব-৮ এর সহায়তায় বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করে মোস্তফা হত্যার হোতা মিরাজুল ইসলামকে (২৮)। তাঁর দেওয়া তথ্যে রাতে পদ্মা সেতু উত্তর থানাধীন মাওয়া চৌরাস্তা থেকে আটক করা হয় স্বপন ফরাজী (২৮) ও পাপ্পু সরদারকে (২৪)। তারা দু’জন সরাসরি এ হত্যায় জড়িত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে মূল পরিকল্পনাকারী মিরাজ। সে জানায়, স্বপন ও পাপ্পুকে নিয়ে মোস্তফার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী রোববার রাত ৭টার দিকে তিনজন মাওয়া চৌরাস্তা থেকে মোস্তফার অটোরিকশা ভাড়া করে। মিরাজের বাসায় যাওয়ার কথা বলেছিল তারা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হলদিয়া এলাকায় অটোরিকশা থামাতে বলে মিরাজ। সে মোস্তফাকে নিচে নামতে বলে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরে স্বপন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। মোস্তফার দুই পা চেপে ধরে পাপ্পু। এ সময় তাঁর মুখ মাটিতে চেপে ধরে মিরাজ। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মিরাজ, স্বপন ও পাপ্পু লাশ ঘটনাস্থলের পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। পরে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, র্যা বের অভিযানে তিনজনকে আটকের সংবাদ শুনেছেন। তবে তখনও পর্যন্ত তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।