জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানী বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার হালদার নিহত হয়েছেন। নিহত তুষার হালদার ‘স্টার টেক’ নামের একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। আগে তিনি ‘দ্য রিপোর্ট’ অনলাইন পত্রিকাতে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার (২ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তুষারের গ্রামে বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়ার তালগাছিয়াতে চলছে মাতম। মা অঞ্জনা রানী হাওলাদার ও বাবা দিনেশ হাওলাদার তাদের একমাত্র ছেলে তুষারকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ছোট বোন অদিতিও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে তুষারের বাবা দীনেশ হালদার অ্যাম্বুলেন্সে করে একমাত্র ছেলের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসতে না আসতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মরদেহ এক নজর দেখার জন্য গ্রামের শত শত লোক বাড়িতে ভিড় জমান। এ সময় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
তুষারের বাবা দীনেশ হালদার ঢাকা বারডেম হাসপাতালে চাকরি করেন। তারা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করত। দীনেশের ২ সন্তানের মধ্যে তুষার বড় ও অদিতি ছোট। তুষার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সাংবাদিকতা বিভাগে সদ্য অনার্স সম্পন্ন করেছেন। কিছু দিন সাংবাদিকতাও করেছেন। আমাগী ১০ মার্চ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমর্বতন অনুষ্ঠানে ছেলের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল মা ও বাবার।
কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে তুষার ওই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলো। শুক্রবার রাতে তালগাছিয়া গ্রামের পারিবারিক সমাধিতে তুষারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হন। তার এ অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।