জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স লুকিয়ে রাজউকে যোগদান করে একাত্তর বছর বয়সেও কর্মরত আছেন ভাতাপ্রাপ্ত এক মুক্তিযোদ্ধা। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে দুদকে অভিযোগ দেওয়া হলেও এখনো তিনি বহাল তবিয়তে।
মো. আহসান উল্ল্যা পাটওয়ারী নামে এই ব্যক্তি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিন পাটওয়ারীর ছেলে। তিনি রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে জরিপ সাথী পদে কর্মরত।
আহসান উল্ল্যার বাবার মৃত্যু হয় ১৯৭১ সালে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে আহসানের জন্মসাল ১৯৭৩ সালের ৩ জুন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদে দাখিলকৃত কাগজপত্রে তার জন্ম তারিখ ১৯৫৩ সালের ৩ জুন। অপরদিকে স্মার্ট কার্ডে তার জন্মসাল উল্লেখ করা হয়েছে পহেলা জানুয়ারি ১৯৫৩। এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পরিচয়পত্রে ২০ বছর কমিয়েছেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান নামে এক ব্যক্তি ২০১৭ সালে দুদক বরাবর আহসান উল্ল্যার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের তথ্য গোপন এবং ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে রাজউকে চাকরির বিষয়ে অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, আহসান উল্ল্যা ও তার বড় ভাই আতিকুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। আহসান পূর্ব বাড্ডা রাজউক স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সরোয়ার হোসেনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ স্বীকার করে আহসান উল্ল্যা জানান, ১৯৯৮ সালে মোহাম্মদপুরে আগুনে তার সর্বস্ব পুড়ে যায়। সংসার চালাতে তিনি ভুয়া পরিচয়পত্রে রাজউকে প্রথমে দারোয়ান হিসেবে মাস্টার রোলে চাকরি নেন। এরপর জরিপ সাথী পদে পদোন্নতি পান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।