বিনোদন ডেস্ক : ‘আমার নাম সৌরভ গাঙ্গুলি, ভুলে তো যাননি’, এই ছিল সেই বিজ্ঞাপনের লাইন। সৌরভ গাঙ্গুলির মুখে এই কথা শোনার পর শুরু হয় ক্রিকেট বিশ্বে ভূমিকম্প। এই লাইনটি যখন প্রথম লেখা হয় তখন কেউ ভাবেইইনি এটি কেবল একটি লাইন নয়, যুদ্ধের সূচনা। কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং গ্রেগ চ্যাপেলের লড়াই। আজ আমরা সেই বিজ্ঞাপনটির গল্প বলবো যা সৌরভ গাঙ্গুলিকে জোর করে ব্ল্যাকমেইল করে শ্যুট করা হয়েছিল।
এই একটা অ্যাডেই বদলে গেছিলো দাদার কেরিয়ার তথা গোটা জীবন। সাল ২০০৬, আগস্টে সৌরভ গাঙ্গুলির অধিনায়কত্ব কেড়ে তাকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। একে একে বোর্ডের সমস্ত সদস্যদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি দাদার এক সতীর্থ তাকে সমর্থন করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, দাদা যাকে কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সেই গ্রেগ চ্যাপেলের নির্দেশেই ঘটেছিলো এই সবকিছু। সৌরভ যাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করেছিলেন তিনিই তাকে ভেতর থেকে ভেঙে রেখে দিয়েছিলেন। শোনা যায় সেই সময় দলেরই একজন নির্বাচক স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, যতক্ষণ তারা দলে আছেন সৌরভ গাঙ্গুলিকে আর দলে ফিরতে দেবেননা।
যে মহারাজ ক্রিকেট বিশ্বে রাজ করতেন তিনিই কিনা আর মাঠে ফিরতে পারবেননা, এই কথা শোনার পর থেকেই থ হয়ে গেছিলো গোটা দেশ। ঠিক এই সময়ই পেপসি ইন্ডিয়ার সিইওর কাছ থেকে ফোন পান তিনি। সেই সময় পেপসির সিইও নিজেও বরখাস্ত হওয়ার মুখে। সেই মুহূর্তে অন্যান্য দেশে বিক্রি হওয়া পেপসির তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি কীটনাশকের খোঁজ মেলে ভারতের পেপসিতে।
পেপসির এই মামলা শুরু হওয়ার পর মারাত্মক ক্ষতির সামনা করতে হয় সংস্থাটিকে। প্রাণপণে চেষ্টা করছিলো ঘুরে দাঁড়ানোর। একদিকে সৌরভকে নিয়ে সারা দেশের মানুষ চিন্তাগ্রস্ত, অপরদিকে পেপসির অবস্থা তথৈবচ। সেই মুহূর্তে সৌরভকে সামনে রেখে মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলার কথা প্ল্যান করে পেপসি।
এদিকে টিম ইন্ডিয়ায় ফেরার সমস্ত রাস্তা যেখানে বন্ধ এমতাবস্থায় এই অ্যাড হয়তো তার কোনো কাজে এলেও আসতে পারতো। কিন্তু দাদা এক কথায় না করে দেয়। সৌরভ গাঙ্গুলি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমি ওই লাইনটা বলতে পারবোনা’। কিন্তু পেপসিও বুঝতে পেরেছিলো যদি কেউ তাদের বাঁচাতে পারে তাহলে একমাত্র দাদাই। প্ল্যান করে গাঙ্গুলিকে আইনি নোটিশ পাঠান সংস্থাটি। নোটিশে বলা ছিলো যে, সৌরভ গাঙ্গুলি নাকি ২০০৭ সাল পর্যন্ত কাজ করার চুক্তি করেছেন।
বিয়ে ছাড়া কিশোর-কিশোরীর সন্তান জন্মদান, মধ্যস্থতা করলেন হাইকোর্ট
তাই দাদার কাছেও আর রাজি না হয়ে উপায় ছিলোনা। বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে দাদার গল্প পৌঁছে যায় মানুষের ঘরে ঘরে। দাদার প্রতি সহানুভূতি আরো বেড়ে ওঠে মানুষের মনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে প্রত্যাবর্তন করেন এবং হাফ সেঞ্চুরি করে নিজেকে প্রমাণ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।