জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুর জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি মৎস্য আড়ত বড়স্টেশন মাছঘাটে ইলিশের সরবরাহ বাড়ছে। বাংলাদেশের সীমানায় মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ২৩ জুলাই শেষ হয়েছে। এরপর থেকেই ইলিশে সরগরম মাছঘাট।
যদিও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না। তবে সাগর মোহনায় কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন আকারের ইলিশ ধরা পড়ছে। সেই ইলিশ চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে আসছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। ভোলা, হাতিয়া, চরফ্যাশন, লক্ষ্মীপুর ও আশপাশের উপকূলীয় এলাকা থেকে ট্রলার ও ট্রাকে ইলিশ আসছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৯০ শতাংশ ইলিশই সাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলের। বাকি ১০ শতাংশ পদ্মা-মেঘনার।
এদিকে সরবরাহ বাড়ায় ইলিশের দাম কিছুটা কমছে। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়, যা আগে ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। আর ৫০০-৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়।
বর্তমানে বাজারে সাগরের মোহনার ছোট ও মাঝারি ইলিশ বেশি আসছে। এছাড়া চাঁদপুরের স্থানীয় ইলিশের সাইজ একটু বড়।
চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী বিপ্লব খান বলেন, ইলিশের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে স্থানীয় ইলিশ কম থাকায় এখনো দাম কমছে না। আজ ৩ কেজি ওজনের একটি ইলিশ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুটি রাজা ইলিশ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ বাড়লে দাম আরও কমবে। বাজার লোকে লোকারণ্য। কিন্তু সেই তুলনায় ইলিশ কম।
ক্রেতা এসএম আমির বলেন, ‘আমি ২৫ হাজার টাকার ইলিশ কিনেছি। দাম কম থাকলে আরও নেওয়া যেত। বেশ ভালো লাগছে চাঁদপুর থেকে ইলিশ কিনেছি। যদিও দাম তুলনামূলক বেশি। তবে বাইরের ইলিশের দাম আবার কম। এখানে প্যাকেটজাত খরচটা আরেকটু কমালে ক্রেতাদের সুবিধা হতো।’
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি শবে বরাত সরকার বলেন, এবার মৌসুমের অর্ধেক শেষ হলেও স্থানীয় ইলিশ একবারেই কম। তবে মাছঘাটে প্রথমদিকে ইলিশের তেমন দেখা না মিললেও এখন দক্ষিাণাঞ্চলের ইলিশ আসছে। ছোট ইলিশের তুলনায় বাজারে বড় ইলিশের দাম একটু বেশি। আমরা আশাবাদী সহসাই ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।