আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের অন্যতম প্রাচীন গুহা এটি। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ জিওলজিক্যাল সায়েন্সেস-এর প্রথম ১০০ ভৌগলিক নিদর্শনেও জায়গা পেয়েছে এই গুহা। গুহার মধ্যে বয়ে গেছে ৫টি নদী।
বিশ্বের দরবারে জায়গা করে নিল ভারতের এই অন্যতম বিশাল গুহা। যা আবিষ্কার হয় ব্রিটিশদের হাত ধরে। ভারতে তখন ব্রিটিশ শাসন। ১৮৪৪ সালে এক ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক এই গুহার খোঁজ পান। তাঁর হাতেই আবিষ্কার হয় অতিপ্রাচীন এই গুহা।
সাড়ে ৪ হাজার মিটার দীর্ঘ এই গুহা বিশ্বেরও অন্যতম বিশাল গুহা। গুহাটি তৈরি হয়েছে পাথর আর স্ট্যালাগমাইট প্রাকৃতিক স্থাপত্যে। এই গুহার মধ্যে রয়েছে এক বিশাল পুকুর।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পুকুরের জল এসেছে ৫টি নদীর জল মিশে। গুহার মধ্যে দিয়েই নিজেদের জন্য রাস্তা করে নিয়েছে স্থানীয় ৫টি নদী। সেই ৫ নদীর জলেই পুষ্ট হয়ে তৈরি হয়েছে এক বিশাল পুকুর। যা গুহাটিকে অন্য এক মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।
মেঘালয়ের মামলু গুহা সবচেয়ে বড় গুহা। অন্যতম পর্যটক আকর্ষণও বটে। যা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ জিওলজিক্যাল সায়েন্সেস-এর বিশ্বের প্রথম ১০০ ভৌগলিক নিদর্শনেও জায়গা পেয়েছে। সোহরা এলাকায় এই গুহার স্ট্যালাগমাইট পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এখন বৃষ্টি ও খরার আগাম পূর্বাভাস পেয়ে যান।
ভারতে যে ১০টি সবচেয়ে লম্বা গুহা রয়েছে তার প্রতিটিই মেঘালয়ে অবস্থিত। এখানে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিও হয়। আবার এখানে যখন শীতে বৃষ্টি হয়, তার সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরের আবহাওয়ার একটা যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।