একটি ইঁদুর ধরতে রেলের খরচ ৪১ হাজার টাকা

ইঁদুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রেললাইন ও প্ল্যাটফর্মে ঘুরে বেড়ানো ইঁদুর দমনে একেবারে নাজেহাল অবস্থা ভারতের বিভিন্ন রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষের। লখনউ ডিভিশন রেল স্টেশনে একটি ইঁদুর ধরতেই খরচ হয়েছে গড়ে ৪১ হাজার রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৪ হাজার টাকা!

ইঁদুর

দেশটির রেল দফতর আরটিআই এমন তথ্যই জানিয়েছে। নিউজ ৯ লাইভের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, সম্প্রতি চন্দ্রশেখর গৌর নামে এক ব্যক্তি তথ্য জানার অধিকার আইনে লখনউ ডিভিশনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন।

তিনি জানতে চান — ইঁদুর ধরতে রেলের খরচ কত? ইঁদুর রেলের কী ক্ষতি করে? সেই ক্ষতির পরিমাণ কত? জবাবে রেলের লখনউ ডিভিশন জানিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তারা সব মিলিয়ে ১৬৮টি ইঁদুর ধরেছিল। তাতে তাদের খরচ হয়েছে ৬৯.৫ লাখ রুপি। তার মানে এই হিসেব ধরলে ইঁদুর ধরার খরচ মাথাপিছু ভারতীয় মুদ্রায় ৪১ হাজার রুপি তথা ৫৪ হাজার টাকা।

একই প্রশ্ন দিল্লি, আম্বালা, মোরাদাবাদ ফিরোজপুর ডিভিশনের কাছেও করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তারা এর জবাব দেয়নি। ইঁদুর মারার খরচের বিষয়ে লখনউ ডিভিশন জবাব দিলেও ইঁদুর রেলের কী ক্ষতি করে এবং সেই ক্ষতির পরিমাণটা ঠিক কত তা স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।

সে প্রশ্নে লখনউ ডিভিশন জানায়, অনেক ক্ষতি করে, যা বলে শেষ করা যাবে না। তাই ক্ষতির পরিমাণটাও হিসেবে কষে বলা মুশকিল।

এর প্রেক্ষিতে আম্বালা ডিভিশন জানায়, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তারা ইঁদুর, পোকামাকড়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল। এতে তাদের খরচ হয় ৩৯.৩ লাখ রুপি। কতগুলো ইঁদুর তারা ধরেছে এর হিসেব তারা দেয়নি।

তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে, আরশোলা, ইঁদুর, মশা সহ যাবতীয় বিষয় প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছর ২৩.২ লাখ রুপি খরচ করা হয়। প্রতি বছর ২৫ হাজার কোচে এই কাজ করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি কোচে ৯৪ রুপি করে খরচ হয়।

এদিকে একটি ইঁদুর মারলে রেলের ৪১ হাজার রুপি খরচ হওয়ার তথ্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।

সমস্ত সীমা অতিক্রম করলো এই ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন

তিনি টুইট করেন, ‘‘রেলওয়ে একটি ইঁদুর ধরতে ৪১ হাজার রুপি এবং মোট ব্যয় করেছে ৬৯.৪০ লাখ রুপি! এতো খরচ করে ৩ বছরে ধরা হল ১৬৮ টি ইঁদুর! একা লখনউ অঞ্চলের এই অবস্থা! সারা দেশে,‘দুর্নীতির ইঁদুর’ প্রতিদিন জনগণের পকেট কাটছে। ফলাফল: বিজেপি শাসনে, মানুষ প্রতিদিন প্রচণ্ড মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়ছে। এমনকি বয়স্কদের রেল ভাড়ায় যে ছাড় দেওয়া হয়েছে তাও খেয়ে ফেলা হয়েছে।’’