বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ১৪ হাজার বছর আগে সূর্যে ঠিক কি হয়েছিল তা সকলকে জানিয়ে দিল একটি গাছ। যা থেকে বিজ্ঞানীরা এক অন্য ঘটনার কথা জানতে পারলেন। সূর্যে কি হচ্ছে না হচ্ছে তা একটা গাছের পক্ষে কি জানা সম্ভব? কিন্তু একটি গাছের গুঁড়িই জানান দিল সেদিন ঠিক কি হয়েছিল। অবশ্য ১৪ হাজার ৩০০ বছর পর গাছটি বেঁচে নেই। পড়ে আছে তার একটি গুঁড়ি। যে গুঁড়িটিও অর্ধ জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে।
ফ্রেঞ্চ আল্পসের দক্ষিণ দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া ড্রজেট নদীর ধারে ফ্রান্স, চেক প্রজাতন্ত্র ও ইংল্যান্ডের গবেষকদের একটি যৌথ দল গবেষণা চালানোর সময় এই গাছের গুঁড়িটির খোঁজ পেয়েছে।
সেই গুঁড়িতে রয়েছে রেডিওকার্বনের অতি ভয়ংকর একটি ঝলকের চিহ্ন। যা এই ১৪ হাজার ৩০০ বছর পরেও স্পষ্ট। যা থেকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত যে সেই সময় একটি দানবীয় সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতেও।
সূর্যে যে সৌর ঝড় হয় তার ৪টি ভয়ংকরভাবে পৃথিবীর ওপর প্রভাব ফেলেছে এখনও। তারমধ্যেও সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি এসেছিল এই ১৪ হাজার ৩০০ বছর পুরনো ঝড়টি থেকেই।
সেটিই এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর ওপর প্রভাব ফেলা সবচেয়ে বড় সৌর ঝড়। যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সে সময় অনেক এনার্জি কণাও ছড়িয়ে দিতে পেরেছিল।
বড় গাছের গুঁড়ি কাটলে সেই গুঁড়ির মধ্যে অনেক গোল গোল দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এই গোল দাগ ওই গাছের বয়স থেকে তার ওপর পরা নানা প্রভাবের চিহ্ন বহন করে।
এক্ষেত্রে যে গাছের গুঁড়িটি পাওয়া গিয়েছে তার ওপর গোলাকার দাগেই এই রেডিওকার্বনের চিহ্ন স্পষ্ট। যা পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা এটাও নিশ্চিত যে ১৪ হাজার ৩০০ বছরের পুরনো সৌর ঝড়টিই ছিল পৃথিবীর ওপর আছরে পড়া সবচেয়ে ভয়ংকর সৌর ঝড়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।