জনপ্রিয় মার্কিন রক ব্যান্ড নির্ভানার আলোচিত অ্যালবাম ‘নেভারমাইন্ড’ বের হয় ১৯৯১ সালে। অ্যালবামের কভারে ব্যবহার করা হয় একটি শিশুর উলঙ্গ ছবি। স্পেন্সার এলডেন নামের ওই শিশু বড় হয়ে মামলা করে ব্যান্ডটির নামে।
চার মাসের স্পেন্সার এলডেনকে অ্যালবামের কভারে পানির নিচে নগ্ন অবস্থায় সাঁতার কাটতে দেখা যায়। ২০২১ সালে শিশু পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর অভিযোগ এনে নির্ভানা ব্যান্ড ও আলোকচিত্রী কির্ক ওয়েডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন এলডেন। তবে বিচারক তার অভিযোগ পাত্তা দেননি। ওই ছবি প্রসঙ্গে তিনি মত দিয়েছেন, না ভঙ্গি, না মূল ফোকাস, না পরিবেশ, না সামগ্রিক প্রেক্ষাপট, কিছুই এই অ্যালবামের কভারকে যৌনতা হিসেবে উপস্থাপন করে না।
নির্ভানার পক্ষের একজন আইনজীবী বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে আদালত এই ভিত্তিহীন মামলার অবসান ঘটিয়েছেন এবং আমাদের মেধাবী মক্কেলদের মিথ্যা অভিযোগের কলঙ্ক থেকে মুক্ত করেছেন।’
এলডেন প্রথম মামলাটি করেন ২০২১ সালে। সেসময় তিনি যুক্তি দেন, তার নাম-পরিচয় আজীবনের জন্য বাণিজ্যিক যৌনতার সঙ্গে জড়িয়ে গেল। তার শৈশবকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া ও বিক্রি করা হয়েছে। মার্কিন আদালতের বিচারক ফার্নান্দো অলগুইন ২০২২ সালে মামলাটি খারিজ করে দেন। কারণ এলডেন মামলাটি করেছিলেন ঘটনার দশ বছর পর, যা আইনি সীমা অতিক্রম করে। পরে আপিল আদালত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাকে পুনরায় মামলার অনুমতি দেন।
তবে পরেরবার বিচারক অলগুইন রায় দেন যে, এলডেন নগ্ন ছিলেন বটে। এ ছাড়া ছবিটিকে শিশু পর্নোগ্রাফির আওতায় আনার মতো কিছুই নেই। তিনি ওই ছবিটিকে ‘একটি পরিবারের শিশুর গোসল করার ছবি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। বলেছেন, ছবিটি শিশু পর্নোগ্রাফি হিসেবে বিবেচনার জন্য যথেষ্ট নয়।
বিচারক আরও উল্লেখ করেন, যৌনতা বিবেচনার জন্য শুধু নগ্নতাই যথেষ্ট নয়, এর সঙ্গে অন্য পরিস্থিতিও থাকতে হবে, যা ছবিটিকে লাস্যময় বা যৌন প্ররোচনামূলক করে তোলে। তিনি আরও বলেন, ছবি তোলার সময় এলডেনের বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন, আলোকচিত্রী ছিলেন তাদের পারিবারিক বন্ধু। এলডেন নিজেও এই কভারের মডেল হওয়ার কারণে গর্ববোধ করেছেন, এমনকি আর্থিক সুবিধাও নিয়েছেন।
মামলা খারিজ হওয়ায় এলডেনের আইনজীবী রোলিং স্টোনকে বলেন, তারা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে ‘শ্রদ্ধার সঙ্গে’ দ্বিমত পোষণ করছেন এবং আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মার্শ ল ফার্মের আইনজীবী জেমস আর মার্শ বলেন, যতদিন পর্যন্ত বিনোদনশিল্প মুনাফাকে শিশুদের গোপনীয়তা, সম্মতি ও মর্যাদার ওপরে স্থান দেবে, ততদিন আমরা সচেতনতা ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।