জুমবাংলা ডেস্ক: রোজ ভোরে ঘুম ভাঙলে আগে তাকে ম’দ দিতে হবে। তারপর অন্য খাবার। ম’দ না পেলে অন্য খাবার খাওয়ানো যায় না। যার কথা বলা হচ্ছে সে আসলে মানুষই নয়, একটি মোরগ। অবিশ্বাস্য হলেও এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্রের।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, মোরগটি মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলার পিপারি গ্রামের মুরগি খামারের মালিক ভাউ কাটোরের। তিনি কোনোদিন ম’দ ছুঁয়ে দেখেননি, অথচ তাকেই মোরগকে ম’দ খাওয়াতে প্রতি মাসে খরচ করতে হয় দুই হাজার টাকা।
কীভাবে ম’দের প্রতি আসক্ত হল মোরগ? তারও একটি কাহিনি রয়েছে। কাটোরে জানান, হঠাৎ একদিন মোরগটি খাওয়া বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। তখন গ্রামেরই এক বাসিন্দা কাটোরেকে পরামর্শ দেন মহুয়া খাওয়ালে মোরগের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। ঠিক মতো খাবারও খাবে। কাটোরে খাবারের সঙ্গে কিছুটা মহুয়া মিশিয়ে দেন।
কাটোরে বলেন, ‘সেই পরামর্শ যেন জাদুর মতো কাজ করেছিল! ম’দ-সমেত খাবার খেয়ে নিয়েছিল মোরগ।’ কিন্তু সেই কৌশল যে পরবর্তী কালে অভ্যাসে পরিণত হবে সেটা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি।
কয়েক দিন খাবারের সঙ্গে একটু একটু করে মহুয়া এবং দেশি ম’দ মিলিয়ে দেওয়ায় দিব্যি খেয়ে নিচ্ছিল মোরগটি। এভাবে ধীরে ধীরে ম’দে আসক্ত হয়ে পড়ে। তারপর মোরগকে নিয়ম করে ম’দ দিতে হয়। কাটোরে জানিয়েছেন, যেদিন ম’দ দেওয়া হবে না, সেদিন দানাপানিও ছুঁয়ে দেখবে না মোরগটি। তারপর থেকেই দেশি ম’দ খাওয়াতে হচ্ছে মোরগটিকে। দেশি ম’দ না পেলে বিদেশি ম’দ দিতে হয় বলে জানিয়েছেন কাটোরে। আর এর জন্য ২ হাজার টাকা প্রতি মাসে খরচ করতে হয়।
মোরগকে নেশা ছাড়াতে এ বার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কাটোরে। পশু চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন, মোরগকে ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। যার গন্ধ অনেকটাই ম’দের মতো।
প্রচুর টাকার মালিক হওয়া সত্বেও আম্বানি পরিবারের মহিলারা পরেন না সোনার গয়না!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।