বিনোদন ডেস্ক : আলিয়া ভাট অন্তঃসত্ত্বা। সোমবার দিনভর তাই নিয়ে চর্চা। একই ঘটনার চর্বিতচর্বণে ক্লান্ত ঋদ্ধি সেনও। ক্ষোভ উগরে দিলেন। আলিয়া ভাট অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় তাঁর গর্ভধারণের খবর প্রকাশ্যে। নেটমাধ্যমে আলিয়া এবং রণবীর কপূর এ কথা জানিয়েছেন। ব্যস, তার পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে। বিয়ের আগেই কি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন নায়িকা? তাই এত তাড়াহুড়ো করে বিয়ে? নীতু কপূর কতটা খুশি?
কী বলছেন ভট্ট পরিবার? এখানেই শেষ নয়। একাধিক জনের দাবি, ঋষি কপূরই নাকি কপূর পরিবারে ফিরে আসছেন। ‘রালিয়া’র সন্তান রূপে! পাশাপাশি উঠে এসেছে আলিয়ার সন্তানধারণের ভাবনাচিন্তার দিকও। এক জ্যোতিষী নাকি ইতিমধ্যেই গণনা করে ফেলেছেন, ২০২৪-এ আলিয়ার আবারও সন্তান হবে। তার ভাগ্যেই ‘ভাগ্যবান’ হবেন বাবা রণবীর কপূর।
মঙ্গলবার এই আচরণের বিরোধিতা করে অবশেষে মুখ খুললেন এই প্রজন্মের অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন, ‘কাল থেকে শুরু হওয়া রণবীর আর আলিয়ার সন্তান হওয়া নিয়ে কচকচি বন্ধ হোকl রণবীরের মেসো কী বললেন, আলিয়ার মায়ের কাকার প্রপিতামহের চোখে কতটা আবেগের জল, ঋষি কপূর আবার আয়তনে ছোট হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন কিনা, এই সন্তানের জন্ম ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র বক্সঅফিসে কয়েকটা শূন্য বাড়াতে পারবে কিনা, কর্ণ জোহর ‘কাকু’ ইতিমধ্যেই নবজাতকের পৃথিবীতে ‘লঞ্চ’ হবার আগেই তার রুপোলি পর্দায় ‘লঞ্চ’-এর চিত্রনাট্য লিখছেন কিনা, একজন আবির্ভূত হতে না হতেই কোন জোত্যিষী ইতিমধ্যেই ২০২৪-এ আরও একটি সন্তান হবার গণনা করে ফেলেছেন, এই শিশুটি জীবনে বাণিজ্যিক সাফল্য ও পরিবারে কতটা সুখ আনবে ইত্যাদির মতো আরও হাজারটা হেডলাইন দেখে ক্লান্ত লাগেl’
অর্থাৎ, যে কোনও তারকার কোনও একটি ঘটনা নিয়ে সারা দিনের চর্চা ঋদ্ধির কাছে বিরক্তিকর? নাকি এই বিরক্তি বলিউডের তারকাদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ? প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। ঋদ্ধির জবাব, ‘‘টলি-বলি-হলি, সব তারকাদের জন্যই আমার এই বক্তব্য। তারকাদের ব্যক্তিজীবন ব্যক্তিগতই থাক না! অহেতুক এত মাতামাতির আদৌ কি কোনও প্রয়োজন আছে?’’
কিছু দিন আগেই কেকে-কে নিয়ে মাতামাতির কারণে মুখ খুলে জনতার রোষে রূপঙ্কর বাগচি। ফেসবুকে আলিয়াকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ার আগে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া অভিনেতা কি সেই দিকটি একবারও ভেবেছিলেন? এ বারেও ‘বিসমিল্লা’ অভিনেতার জোরালো যুক্তি, ‘‘রূপঙ্কর বাগচির ঘটনাটি জানি। সেটি সম্পূর্ণ অন্য বিষয় ছিল। আমার বক্তব্য একেবারে আলাদা। দুটো বক্তব্যের মধ্যে চেষ্টা করলেও মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না।’’
একই সঙ্গে ঋদ্ধির আরও দাবি, তাঁর আগেই নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা সোমবারে তাঁর মতো করেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এ রকম একাধিক পোস্ট তাঁর চোখে পড়েছে। নেটবাসিন্দাদেরও মত, একুশ শতকে এক তারকার একটি ঘটনা নিয়ে সারা দিন জানতে কারও ইচ্ছে করে না। অভিনেতার কথায়, ‘‘সাধারণ মানুষ আমাদের থেকেও সচেতন। ওঁরা যথেষ্ট অনুভূতিসম্পন্ন। এ সব বিষয়ে তাই যথেষ্ট সজাগ সবাই।’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।