বিনোদন ডেস্ক : মুন্নাভাই থেকে অধীরা— যখন যে চরিত্রের খোলসে ঢুকে পড়েছেন সঞ্জয় দত্ত, চোখ টেনেছেন সবেতেই। কখনও দর্শক হাসতে হাসতে কাহিল, কখনও বা ভয়ে জবুথবু। করোনা আবহে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার-২’-র শ্যুটিংয়ের সময়েই ভাইরাল হয়েছিল তাঁর পরবর্তী ‘ভাইকিং লুক’।
তবে ছবির মুক্তি থমকে যায় পরিস্থিতির ফেরে। এত দিন তাই মনখারাপ করে বসে ছিল ভক্তকুল। অবশেষে চলতি মাসের ১৪ তারিখেই মুক্তি পাবে প্রশান্ত নীল পরিচালিত কন্নড় ছবিটি। কন্নড় ছাড়াও তামিল, তেলুগু, মালয়ালম এবং হিন্দিতে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’ মুক্তি পাবে বলে জানা গিয়েছে। এ দিকে, তার মধ্যেই হইচই ফেলে দিয়েছেন ‘মুন্নাভাই’ স্বয়ং!
সঞ্জয় এমনিতেই বেশ রসিক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সমসাময়িক অভিনেতাদের কটাক্ষ করে বলেন, “আজকাল হাঁটুর বয়সী নায়িকাদের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন অনেকে। তাতে পর্দায় রসায়নের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে কিনা জানি না, কিন্তু বয়সটাও তো একটু খেয়াল রাখতে হবে!” হাসতে হাসতেই অভিনেতার বক্তব্য, “আরে আমায় তো আর এখন আলিয়া ভট্টের মতো বাচ্চাদের সঙ্গে মানায় না!” সঞ্জয়ের তাই মত— নিজের সময় এবং বয়স অনুযায়ী এগিয়ে চলতে হবে সব অভিনেতাকেই। মানিয়ে নিতে হবে। তবেই সঠিক বিচার হবে ছবির প্রতি।
আমি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আমার উকিল হেসেছিলেন, অন্ধকার সময় নিয়ে অকপট সঞ্জয় ১৯৮১ থেকে ২০২২। গত চার দশকে সঞ্জয় বার বার নিজেকে ভেঙেচুরে পর্দায় হাজির হয়েছেন নতুন নতুন ভূমিকায়। সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই মনে করিয়েছেন ১৯৯৩ সালের ছবি ‘খলনায়ক’- এর কথা, যা তাঁকে ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্যের ঘেরাটোপ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিল। সঞ্জয়ের দাবি, ইদানীং একপেশে অভিনয়ের মধ্যেই বেশির ভাগ তারকা নিজেদের নিরাপত্তা খুঁজে নিতে চান। যা আদতে পেশাদার জীবনের ক্ষতি করে বলেই তাঁর মত।
আর তিনি নিজে? কখনও নিজেকে গড়ছেন। ফের ভাঙছেন। ৬২ বছর বয়সে এসে অধীরার মতো দুঁদে মাফিয়ার চরিত্র অনায়াসে ফুটিয়ে তুলছেন। বৈপরীত্যকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়াই বোধহয় এখন সঞ্জয়ের অভ্যাস!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।