বিনোদন ডেস্ক : মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলিউড-অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। কী হয়েছে তাঁর? প্রত্যেক সপ্তাহেই আলিয়াকে ছুটতে হচ্ছে থেরাপি করাতে। তিনি ঠিক আছেন তো? কতখানি অসুস্থ আলিয়া? বিষয়টি নিয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন এবার। আলিয়ার এই অবস্থার জন্য দায়ী কি তাঁর স্বামী রণবীর কাপুর? নাকি অন্য কোনও কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
১০ বছরের চ্যালেঞ্জটিকে খুবই গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। ৩০ বছর বয়সে পা দেওয়ার আগেই সাফল্য পেয়েছেন, সংসার পেয়েছেন এবং পেয়েছেন এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানও। কন্যা রাহার জন্মের পরই আমূল পাল্টে গিয়েছে আলিয়ার জীবন। পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সন্তানের জন্মের পর হাজার-হাজার মা এই মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যান। পোস্ট পার্টাম ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের অংশও। জানেন কি, সেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন খোদ আলিয়া ভাট। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশের সফলতম তারকা-সন্তান (আলিয়া হলেন পরিচালক মহেশ ভাট এবং অভিনেত্রী সোনি রাজ়দানের কনিষ্ঠ কন্যা। এতটাই সফল হয়েছেন আলিয়া যে, তাঁর পরিচয়ে পরিচিত মহেশ-সোনি।)
করণ জোহরের পরিচালনায় তৈরি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ হয় আলিয়ার। আগমনে তেমন সাড়া ফেলতে পারেননি আলিয়া। কিন্তু পরবর্তী ছবিটাই আলিয়ার ছিল ইমতিয়াজ় আলির ‘হাইওয়ে’। ‘রাজ়ি’, ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’র মতো ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে বর্তমান সময়ের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীর তকমা পেয়েছেন আলিয়া। তাঁরও যখন সন্তান জন্মানো, কিছু মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হলেন অভিনেত্রী। কী সেটা, মুখ খোলেন আলিয়া স্বয়ং।
সন্তান জন্মের পর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলিয়া বলেছেন, “আমার খালি মনে হয় মায়ের সব দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারছি কি না। মানুষ আমাকে সঠিকভাবে গ্রহণ করছেন তো।” এমনটা মনে হওয়ার সংযত কারণ আছে আলিয়ার। রাহার জন্মের পরপরই আলিয়াকে কাজে যুক্ত হতে হয়েছিল। করণ জোহরেরই পরিচালনায় তৈরি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবির একটি গানের শুটিং পেন্ডিং বাকি ছিল। কাশ্মীরে গিয়েছিলেন আলিয়া। সেই শুটিংয়ে একরত্তি রাহাকে নিয়ে গিয়েছিলেন আলিয়া। রাত জেগে তাঁকে নিজের বুকের দুধ খাইয়েছিলেন। একটা সময় নার্ভাস ব্রেকডাউনও হয়েছিল তাঁর। সেই সময় স্বামী অভিনেতা রণবীর কাপুর চলে আসেন কাশ্মীরে। রাহার পুরো খেয়াল রাখেন আলিয়ার স্বামী। কেবল তাই নয়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হলিউড ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’-এর শুটিংও শেষ করেছিলেন। রাহা পেটে!
আলিয়া বলেছিলেন, “কেউ আমাকে সরাসরি কিছুই বলতেন না। কিন্তু আমার মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উঁকি দিত। মা হিসেবে দায়িত্ববোধ নিয়ে নিজেই সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করে দিয়েছিলাম আমি। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সেই থেকেই আমি ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিই।” আলিয়া জানিয়েছেন কীভাবে তিনি মনের যত্ন নিয়েছিলেন। বলেছেন, “প্রত্যেক সপ্তাহে আমি থেরাপি করাই। সেই থেরাপি সেশনে মন খুলে কথা বলি।” এই থেরাপি ক্লাসগুলি করতে-করতেই আলিয়া নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পেরেছেন। ভয়কে জয় করতে পারছেন ধীরে-ধীরে। আলিয়া বলেছেন, “আমি এখন জানি, আদর্শ মা হওয়ার কোনও রুল বুক নেই। কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।