আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৫টা ৩০ মিনিট। ঘুমাচ্ছিলেন ওলহা স্ভিরিপা। তখন হঠাৎ তার স্বামী তাকে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরেন। তার স্বামী তাকে বলছিলেন, দয়া করে উঠো, এটি (যুদ্ধ) শুরু হয়ে গেছে।
এদিন ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে বিশেষ অভিযানের নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করেন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা দিয়ে। তারও আগে ইউক্রেনের সীমান্তে সেনাদের প্রস্তুত করে রেখেছিল মস্কো।
সেদিন সকালের কথা বলতে গিয়ে বিবিসিকে ওলহা বলেন, ওইদিন সকালে আমার স্বামী আমাকে যেভাবে জড়িয়ে ধরেছিলেন তা ছিল উষ্ণতম।
এর দুই ঘণ্টা পর তার স্বামী, বন্ধু ও চার অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে গাদাগাদি করে একটি ভ্যানে তারা কিয়েভ ছাড়েন। যাত্রা শুরুর ১৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের শহর রিভনেতে তারা নিরাপদে পৌঁছান।
এতদিন এ অঞ্চল নিরাপদ ছিল। কেননা, সেখানে রাশিয়া হামলা চালায়নি। কিন্তু শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায় রুশ সেনারা। এখন আর দেশটির কোথাও নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
ওলহা বলেন, আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো সঙ্গে নিয়েছি। বিশেষ করে—কাগজপত্র, ল্যাপটপ ও চার্জার। আমার স্বামী আমার ব্যাগ ভর্তি করেছে বই দিয়ে এবং সে বলছিল—এটি ভারী হতে পারে কিন্তু তা গোলার আঘাত থেকে তোমাকে রক্ষা করবে।
ওলহা সফটওয়্যার ফার্ম ইন্টেলিয়াসের কর্মী হওয়ায় ল্যাপটপ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এমন পরিস্থিতিতেও তিনি কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।