সেরা স্মার্টফোন মানেই ভালো বাজেট। অনেকের কাছেই লক্ষ টাকার কাছাকাছি দামের ফোনগুলো কিনার টাকা থাকে না। শুধুমাত্র ছবি আর ফিচার দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আমার কাছে, মিড বাজেটের এন্ট্রি লেভেলের ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোই সেরা। বাংলাদেশের দামে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে এই ফোনগুলো পাওয়া যায়। এই ফোনগুলো আমাদের প্রয়োজনীয় সব ফিচার খুবই ভালোভাবে ওপটিমাইজ করা থাকে। এর চেয়ে বশি দামের অধিকাংশ ফোন আমার কাছে শুধুমাত্র শোঅফ পণ্য মনে হয়। টাকা আছেতো কিনে নাও টাইপের।
আজকে এই নিউজে ২০২১ সালে লঞ্চ হওয়া All in One ৫টি সেরা স্মার্টফোন নিয়ে কথা বলবো যা বাংলাদেশী টাকায় ৩০ থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে পাবেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় সব ফিচারগুলোও পাবেন।
Oppo Reno6 Pro 5G
৫জি সাপোর্টেড এই ফোনটি সফ্টওয়্যারের দিক থেকে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯০০ প্রসেসর দ্বারা চালিত হবে। রয়েছে একটি শক্তিশালী ৪৩০০এমএএইচ ব্যাটারি, যা ৬৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। একটি ৬.৪ ইঞ্চির OLED ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে এই ফোনে, যার রিফ্রেশ রেট ৯০Hz। একটি ৬৪ মেগাপিক্সেল ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে ফোনটিতে।
Unofficial দাম ৳46,500 (12GB+256) কিন্তু আপনি বাংলাদেশের মার্কেটে বার্গেইন প্রাইস ৪০ হাজারের কাছাকাছিতে পেয়ে যাবেন।
Apple iPhone SE
এই মুহূর্তের সবথকে সস্তার আইফোন মডেল। ৫জি কানেক্টিভিটি নেই। তবে এ১৩ বায়োনিক চিপ র পারফরম্যান্স দিতে পারে। কমপ্যাক্ট ডিজাইনের এই ফোনটির ওজনও যথেষ্ট কম। ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্সের জন্য রয়েছে IP67 প্রোটেকশন রেটিং। ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করবে। ছোট্ট ৪.৭ ইঞ্চির LCD ডিসপ্লে রয়েছে এবং ফোনের ব্যাটারি জীবনও দীর্ঘমেয়াদি।
বাংলাদেশে অফিসিয়াল দাম ৳36,990 64 GB
Xiaomi Poco F3 GT
গেমারদের জন্য আদর্শ স্মার্টফোন। ডাইমেনসিটি ১২০০ চিপসেট দ্বারা চালিত এই ফোনে ১২৮জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ উপলব্ধ। ৬.৬৭ ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে, যার রিফ্রেশ রেট ১২০Hz। শক্তিশালী একটি ৫০৬৫এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে এই ফোনে, যা ৬৭ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। একাধিক গেমিং স্পেসিফিকেশনস রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডেডিকেটেড শোল্ডার কি। ৬৪ মেগাপিক্সেল কোয়াড-রিয়ার ক্যামেরা সেটআপও রয়েছে এই ফোনে।
বাংলাদেশে Unofficial দাম (6GB+128GB) ৳35,000 | (8GB+128GB) ৳37,000। কিন্তু আপনি বারগেইন প্রাইসে আরও একটু কমে পেয়ে যাবেন।
vivo iQOO Z5
আর একটি গেমিং স্মার্টফোন। তবে তার দাম কম। এই স্মার্টফোনে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি চিপসেট, যা পেয়ার করা রয়েছে ৮জিবি পর্যন্ত র্যাম এবং ১২৮জিবি পর্যন্ত স্টোরেজের সঙ্গে। একটি ১২০Hz IPS LCD ডিসপ্লে রয়েছে ফোনটিতে। ৫০০০এমএএইচ ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে, যা ৪৪ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। ৬৪ মেগাপিক্সেল ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপও রয়েছে, যা ফোটোগ্রাফারদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
iQOO ফোন বাংলাদেশে অফিশিয়ালি পাওয়া যায়না কিন্তু ব্ল্যাক মার্কেটে পাওয়া যায়। আনঅফিসিয়াল দাম 26,000 টাকার কাছাকাছি পরবে।
Xiaomi Mi 11X
অত্যন্ত ফাস্ট একটি স্মার্টফোন, হ্যাং করার কোনও সম্ভাবনা নেই। রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ চিপসেট এবং সফ্টওয়্যার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড ১১ ভিত্তিক এমআইইউআই ১২.৫। অত্যন্ত জ়িপি একটা ফোন, যা খুশি নিশ্চিন্তে চালানো যেতে পারে। ১২০Hz AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে এই ফোনে। নিশ্চিন্তে এক দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে রয়েছে ৪৫২০এমএএইচ একটি ব্যাটারি। এই ফোনের ব্যাটারি ৩৩ ওয়াট ওয়্যার্ড চার্জিং সাপোর্ট করবে। তবে ফোনের ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দামের সঙ্গে কখনই সুবিচার করতে পারে না।
বাংলাদেশে Official দাম 6/128 GB ভেরিয়েন্টের জন্য ৳39,999 এবং 8/128 GB ভেরিয়েন্টের জন্য ৳42,999। তবে বারগেইন প্রাইস আরও একটু কম পরবে।
উপরে উল্লেখিত সবগুলো মডেলই কিছুদিন আগের লঞ্চ হওয়া। তাই দাম একটু কমার কথা। যেকোন ফোন কিনার আগে ভালো করে কম্পেয়ার করে নিবেন। হয়ত আপনার বাজেটের মধ্যে এর চেয়ে ভালো কনফিগারেশনের ফোনও পেয়ে যেতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।