জুমবাংলা ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ইজতেমা আয়োজকদের দুটি গ্রুপ রয়েছে। প্রথম পর্বে মাও. যোবায়ের অনুসারী ও দ্বিতীয় পর্বে মাও. সাদ অনুসারীরা অংশ নেবেন। আশা করছি তাদের মধ্যে নতুন করে আর ভুল বোঝাবুঝি হবে না। উভয়েই সুন্দরভাবে ইজতেমা শেষ করবে। প্রশাসন সে লক্ষ্যে কাজ করছে।’
শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ব ইজতেমার চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমায় সব ধরনের নিরাপত্তা থাকবে। তবে এবার সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে কোনো সাইবার ক্রাইমের ঝুঁকি না থাকে। এজন্য কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রথম পর্বের যোবায়েরপন্থী মুসল্লিদের ১৬ তারিখ সকাল ১১টার মধ্যে ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের জন্য আগের মতোই সুযোগ সুবিধা থাকবে। এবার প্রথম পর্ব শেষে বিদেশি মেহমানদের ঢাকার হাজ্বী ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সিসি টিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভাপতিত্বে বক্তব্য সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলামহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের মুরুব্বী, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও তাদের প্রতিনিধিরা বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির তথ্য তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, টঙ্গীর তুরাগপাড়ে প্রথম দফায় ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় পর্বে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।