জুমবাংলা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ইলেকট্রনিকস সামগ্রী পুড়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে গোটা সার্ভার। সার্ভার সচল না থাকায় গত চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সব পাসপোর্ট সেবা প্রদান কার্যক্রম। বারবার চেষ্টার পরও সচল হয়নি এভিআর মেশিন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। কবে নাগাদ সচল হবে কার্যক্রম, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, গত বুধবার বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল সড়কের পাসপোর্ট অফিসের আওতাধীন একটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়। এতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামায় পুড়ে যায় পাসপোর্ট অফিসের অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর (এভিআর)। এতে বন্ধ হয়ে যায় অফিসের পুরো সার্ভার। সেই সার্ভার বন্ধ হলে তিন দিনেও তা আর সচল করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে সেখান থেকে প্রকৌশলীরা আসেন চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক কার্যালয়ে। বেশ কয়েক বার চেষ্টার পরও সচল করা যায়নি এভিআর। বারবার ভোল্টেজ ওঠানামার কারণে বিকল হয়ে পড়ছে যন্ত্রটি।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন যে অফিসে তিন শতাধিক মানুষ সেবা নিতে আসেন, সেই অফিস প্রাঙ্গণ এখন অনেকটাই ফাঁকা। নেই কোনো ব্যস্ততা। দূরদূরান্ত থেকে আসছেন সেবাপ্রত্যাশীরা, ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে। এতে মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা হিজলগাড়ী এলাকা থেকে আসা আল হেলাল নামে এক সেবাপ্রত্যাশী বলেন, অফিস টাইমে পাসপোর্ট অফিসের সব কক্ষে তালা ঝুলছে। পাসপোর্ট নবায়ন করতে এসে কাগজপত্র জমা না দিয়েই অফিস ত্যাগ করতে হয়েছে।
আরেক সেবাপ্রত্যাশী সাইফুর রহমান বলেন, পাসপোর্ট সংশোধন করতে গিয়ে দেখি অফিসে লোকজন নেই। নিচের সবকটি সেবাকক্ষ বন্ধ। পরে শুনলাম সার্ভার বন্ধ রয়েছে, তাই কাজ হচ্ছে না। আবার কবে আসতে হবে, সেটিও ঠিক করে কেউ বলতে পারেননি।
দামুড়হদা থেকে আসা নাসিরুল আলি জানান, দূর থেকে এসেও পাসপোর্ট ডেলিভারি না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। কিন্তু আগে থেকে বিষয়টি জানলে আর কষ্ট করে আসতে হতো না।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার জানান, এভিআর মেশিনে সমস্যা হওয়ায় গত ২৭ জুলাই থেকে পাসপোর্ট অফিসের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী ও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের প্রকৌশলীরা এসে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বারবার চেষ্টা করেও তা এখনো সচল হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। তবে যে কোনো সময় এভিআর মেশিন চালু হতে পারে, তখন আর মানুষের দুর্ভোগ ভোগান্তি থাকবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।