সবসময় বিশ্বাস করি আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী: মাহমুদউল্লাহ

Mahmudullah

স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের দলের পারফরম্যান্স বেশ নড়বড়ে। সমর্থকরাও দলকে নিয়ে খুব বেশি আশা করছেন না। তবে ক্রিকেটাররা ঠিকই ধরে রেখেছেন মনোবল। অভিজ্ঞ তারকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মনে করেন, তারা যদি শুরুটা ভালো করতে পারেন তাহলে অনেক দূর যেতে পারেন।

Mahmudullah

দলের সংকটময় মুহূর্ত কিংবা ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। এক যুগের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার বাংলাদেশ দলকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন তিনি। যে কারণে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ক্রিকেটপাড়ায় তাকে ডাকা হয় ‘বিপদের বন্ধু’ নামে। বলছি জাতীয় দলের অভিজ্ঞ তারকা ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথা।

আজ বুধবার বিসিবির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিজের ক্যারিয়ারের পাশাপাশি বিশ্বকাপ ভাবনা জানান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

নিজের ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করাটা গর্বের। সেটা হোক সিরিজ বা কোনো আইসিসি ইভেন্ট। যখন জার্সিটা পরা হয় বা নতুন জার্সি পাই সেটা সবসময় দারুন লাগে। আমার ক্যারিয়ারজুড়েই স্ট্রাগল ছিল। সবসময় আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেছি। আল্লাহর কাছেই সবসময় আমার যা কিছু বলার আমি বলি। আমি সবসময় বিশ্বাস করি আল্লাহ হচ্ছেন উত্তম পরিকল্পনাকারী। সবকিছুরই একটা শিক্ষনীয় বিষয় থাকে।

রিয়াদ বলেন, ক্রিকেটে আমার যাত্রাটা আমার ভাইয়ের হাত ধরে। উনি ক্রিকেট খেলতেন। উনার হাত ধরে আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি। আস্তে আস্তে যখন খেলা বুঝতাম তখন সাইদ আনোয়ারকে অনুসরণ করা শুরু করি। এরপর যদি বলেন, তাহলে এম এস ধোনির খেলা খুব ভালো লাগে। আমি তার বড় একজন ভক্ত। মাঠে ওনার শান্ত মনোভাব কিংবা মানসিকতা আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করে।

মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ২০২১ বিশ্বকাপে মূল পর্বের সব ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। তার নিজের পারফরম্যান্সও ছিল খারাপ। ২০২২ বিশ্বকাপে তাই তিনি আর সুযোগ পাননি। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরে ফের জায়গা করে নিয়েছেন ৩৮ পেরুনো অভিজ্ঞ ব্যাটার। এবার তিনি চান যেকোনো ভূমিকায় সেরাটা ঢেলে দিতে, ‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে যখন ছিলাম না আমার খারাপ অনুভূতি হয়েছে, মনে হয়েছিল আমি থাকতে পারতাম, যেকোনো কারণে হয়নি। তবে ওটা নিয়ে বাজে অনুভূতিও নাই । আমি সব সময় বলি দলের জন্য যতটা করতে পারি। পারফরম্যান্স দিয়ে হোক, অভিজ্ঞতা দিয়ে হোক, উপস্থিতি দিয়ে হোক। আমি আমার সর্বোচ্চটাই দেয়ার চেষ্টা করব।