ধর্ম ডেস্ক : দোয়া হল মহান আল্লাহর কাছে বান্দার বিনীত প্রার্থনা, যা তাঁকে একান্তভাবে ডাকার ও নৈকট্য অর্জনের অন্যতম উপায়। তবে কিছু দোয়া রয়েছে, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।
আল্লামা তিবি (রহ.) বলেছেন, দোয়ার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রতি নিজের সম্পূর্ণ নির্ভরতা ও বিনয় প্রকাশ করে। তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করা এবং যে কোনো প্রয়োজনে কেবল তাঁর কাছেই সাহায্য চাওয়া উচিত। তবে কিছু দোয়া এমন আছে, যা পরিণতি না ভেবে করা হলে বিপদের কারণ হতে পারে।
যে দোয়াগুলো নিষিদ্ধ
অকল্যাণ কামনার দোয়া: অনেক সময় মানুষ রাগ বা হতাশায় সন্তান বা আত্মীয়দের জন্য বদ্দোয়া করে, যা ইসলাম স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- মানুষ যেভাবে কল্যাণ কামনা করে, সেভাবেই অকল্যাণ কামনা করে বসে। প্রকৃতপক্ষে, মানুষ খুবই তাড়াহুড়োকারী। (সুরা বনি ইসরাইল: ১১)
মৃত্যু কামনার দোয়া: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঠিন বিপদে পড়লেও মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন।
তিনি বলেছেন, “তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে এবং মৃত্যুর জন্য দোয়া না করে, কেননা মৃত্যুর পর আমল বন্ধ হয়ে যায়। বরং মুমিন ব্যক্তির দীর্ঘ জীবন তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।” (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
দুনিয়াতেই শাস্তি কামনা করা: কেউ কেউ পরকালীন শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার আশায় ইহকালেই নিজেদের শাস্তির দোয়া করে, যা কঠিন বিপদের কারণ হতে পারে। বরং শাস্তির পরিবর্তে আল্লাহর ক্ষমা ও দয়া প্রার্থনা করাই উত্তম।
অনিশ্চিত দোয়া: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমরা দোয়া করবে, তখন দৃঢ়তার সঙ্গে করো। আর এমন বলো না— ‘হে আল্লাহ! যদি তুমি
চাও, তবে আমাকে দান করো।’ কেননা আল্লাহর জন্য কিছুই বাধ্যতামূলক নয়।” (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
দোয়া আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে ইসলামে দোয়ার সীমারেখা নির্ধারিত রয়েছে। তাই হতাশা, রাগ বা ভুল বোঝাবুঝির কারণে নিষিদ্ধ দোয়াগুলো না করা উচিত। বরং সব পরিস্থিতিতে আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও কল্যাণ কামনাই হতে হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।