জুমবাংলা ডেস্ক : সংগঠক নাহিদ হাসান নলেজ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রথম শহীদ আবু সাঈদের আইনজীবী রায়হান কবীর ও ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা শেখ নাসির উদ্দিনের ওপর জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের হামলা অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ‘প্রতিবাদ ও নিন্দা’ জানিয়েছেন দেশের অন্তত ৬২ জন বিভিন্ন পেশার নাগরিক।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্র সংস্কারের সদস্য রিয়াজ খানের সই করা এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, ড. সৈয়দ নিজার, ডা. জাহেদ উর রহমান, মোরশেদ শফিউল হাসান, মাসকাওয়াথ আহসান, সামিনা লুৎফা, সারোয়ার তুষার, মোহাম্মদ জাহিদুল হক, কল্লোল মোস্তফা, সহুল আহমদ, বাকী বিল্লাহ, পারভেজ আলম, সামজীর আহমেদ, দিলশানা পারুল, মারুফ মল্লিক, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, আলতাফ শাহনেওয়াজ, আরিফুজ্জামান তুহিন, দীপক সুমন, খন্দকার সুমন, মীর হুযাইফা আল মামদূহ, অনুপম দেবাশীষ রায়, সুস্মিতা চক্রবর্তী, রফিকুল রঞ্জু, সাইয়েদ জামিল, নাসরিন খন্দকার, শিমুল সালাহ্উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, এহসান মাহমুদ, রাফিকুজ্জামান ফরিদ, সৈকত আরিফ, রাগীব নাঈম, আরিফ রহমান প্রমুখের নাম উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৯ নভেম্বর কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাট ও ঘাট খাজনা বাতিল, কৃষি সংস্কার কমিশন ও স্বাধীন স্থানীয় সরকারের দাবিসহ কয়েকটি দাবিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে কৃষক সমাবেশ ছিল। এজন্য তারা কয়েক দিন ধরে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। পুলিশের ভাষ্যমতে, সমাবেশের দিন রৌমারী থানায় জামায়াতে ইসলামী সমাবেশ বাতিলের দাবিতে আবেদন জমা দেয়। তাই রৌমারী থানা পুলিশ মঞ্চ ভেঙে দেয়।
‘পরে সমাবেশ শুরুর নির্ধারিত সময়ে সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে গেলে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনুকে জামায়াত কর্মীরা আওয়ামী নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর জামাই ও ভাগনে মাহবুবের নেতৃত্বে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তারপর শহীদ আবু সাঈদের প্রধান আইনজীবী রায়হান কবীর তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকেও কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। অতিথি নাহিদ হাসান নলেজ রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকে ও ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা শেখ নাসিরসহ উপস্থিত আরও কয়েকজনকে মারধর করে’, বিবৃতিতে বলা হয়।
বিশিষ্টজনেরা উল্লেখ করেন, ‘আমাদের কাছে যে ভিডিও এসেছে ও সংবাদমাধ্যমে প্রশাসনের লোকজন যে বিবৃতি দিয়েছেন—তাতে স্পষ্ট তাদের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতাতেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এই সাহসটা পেয়েছে।’
বিবৃতিতে আর ও বলা হয়, ‘আমরা রৌমারীর সার্কেল এসপি, ওসি ও ইউএনওর বিবৃতি পড়ে বুঝেছি, এরাও অন্যতম অপরাধী। তাদের অপসারণসহ হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি ও নিন্দা জানাই।’ সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।