সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল হকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকেলে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। এ সময় পুলিশ সুপার তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ফিরে সিংগাইর থানা চত্বরে অভিযোগকারী নারী সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে আমার ছোট ভাই নিখোঁজ হওয়ায় সিংগাইর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করতে যাই। পরে সেখানে ওসির কক্ষে এএসপি রেজাউলের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর থেকে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক আরেকটু গভীর হলে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। কখনও ঢাকায়, কখনও তার কার্যালয়ের ওপরের তলার বাসায় আমরা মিলিত হই।
তিনি বলেন, গত রোববার রাতে রেজাউল হক ফোন করেন। তখন অপর প্রান্ত থেকে তার স্ত্রী কথা বলা শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে আমি সোমবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে তার বাসায় যাই। তখন তার স্ত্রী ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য মারধর করেন।
তিনি আরও বলেন, ওর বউ-বাচ্চা থাকা সত্ত্বেও আমার সঙ্গে কেন শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে। কেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বিয়ে না করলে আমি ওর বিরুদ্ধে মামলা করব।
এ বিষয়ে জানতে সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লাহ বলেন, আমাদের সহকারী সার্কেল স্যারের বাসায় এক নারী গিয়ে ঝামেলা করছে শুনে, আমরা সেখান থেকে ওই নারীকে এনে থানায় রেখেছিলাম। পরে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে তাকে নিয়ে যায়। এর বাইরে আমি কিছুই জানি না। কারণ, এটি তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, মেয়েটি আজ মঙ্গলবার সকালে আমার কার্যালয়ে এসেছিল। কিন্ত আমি একটি মিটিংয়ে থাকায় আমার সঙ্গে তার দেখা বা কথা হয়নি। তবে তিনি যদি অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে (ঘটনার সত্যতা পেলে) তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।