জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর গুলশান থানায় মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন দূতাবাস। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা মিকাইল লি এই মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- আশরাফুল আলম, মফিজুর রহমান, মোহাম্মদ জামান, ভাসানি ও মোহাম্মদ নূর আলম।
এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সিটিটিসির উপকমিশনার জসীম উদ্দিন বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। গুলশান থানা থেকে মামলার নথিপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা।
মামলার অভিযোগে মিকাইল লি অভিযোগ করেন, মফিজুর রহমান ও আশরাফুল আলম ভূঁইয়া নামের দুই বাংলাদেশি মার্কিন ভিসার জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাৎকার দিতে যান। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তারা স্বীকার করেছেন তারা দুজন বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে মানব পাচারে জড়িত।
তারা মূলত দালাল হিসেবে কাজ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য তারা ভুয়া নথিও জমা দিয়েছিলেন।
এদের মধ্যে মফিজুর রহমান সম্পর্কে এজাহারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে মানব পাচার করেন তিনি। পাশাপাশি অন্য দালালদের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচার করেন।
তিনি নিজের ভাইকে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে ভারত হয়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশে সুরিনামে পাঠান। সেখান থেকে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান।
আশরাফুল আলম ভূঁইয়া সম্পর্কে এজাহারে বলা হয়, তিনি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেছেন, তিনিও মানব পাচারের ক্ষেত্রে দালাল হিসেবে কাজ করেন। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারে সহায়তা করেন। মানব পাচারে তাঁকে অর্থের বিনিময়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একজন অভিবাসন কর্মকর্তা সাহায্য করেন বলে জানান।
এজাহারে আরো বলা হয়, মফিজুর রহমান ও আশরাফুল আলম বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য জমা দেওয়া নথিতে নিজেদের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
নতুন স্মার্টফোন আনলো শাওমি, থাকছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরা
এাজাহারে বলা হয়, তারা মূলত দালাল। তারা বিদেশি রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক। মার্কিন দূতাবাস বিশ্বাস করে তারা দুজন মানব পাচারের সুবিধা নিতেই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। মোহাম্মদ জামান ও ভাসানি নামে তাদের দুজন সহযোগীর বিষয়েও তথ্য পাওয়া গেছে। এই চক্রের প্রধান হচ্ছে মোহাম্মদ নূর আলম নামে এক ব্যক্তি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।