জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুরপাড়া এলাকায় রোকেয়া খাতুন নামে এক ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে মালিকের বসত বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এএইচএম কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অভিযোগ ও টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালতে রিভিশন মামলা করেন।
মামলায় বাড়ির মালিক কামরুল ইসলামের পক্ষে রায় আসলেও ভাড়াটিয়া রোকেয়া খাতুন তার প্রভাব খাটিয়ে এখনো দখল ছাড়েনি।
অভিযোগ ও রিভিশন মামলা থেকে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ৪ জুন শহরের আকুরটাকুর মৌজায় ১০ শতাংশ জমি সত্যেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্যের কাছ থেকে এসএম হারুন অর রশীদ ক্রয় করেন। ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট ওই জমিটি রক্ষণাবেক্ষণসহ যাবতীয় ক্ষমতা এএইচএম কামরুল ইসলামকে আমমোক্তার নিয়োগ করেন এসএম হারুন অর রশীদ।
ওই ভূমিতে এএইচএম কামরুল ইসলাম ইমারত নির্মাণের জন্য ভাড়াটিয়া রোকেয়া খাতুনের স্বামী মৃত আ. বারেককে ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করেন। তারা ছেড়ে না দেওয়ায় মৃত আব্দুল বারেকের স্ত্রী মোছা. রোকেয়া বেগম, তার ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন, মো. মনি, মো. শফি, মো. হাবু হাবিব মিয়ার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল পৌরসভায় লিখিত দরখাস্ত দেন এএইচএম কামরুল ইসলাম।
২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি উভয়পক্ষকে পৌরসভা থেকে ডাকা হয়। সেখানে রোকেয়া বেগম জাল দলিল দাখিল করেন। কাগজপত্র জাল থাকলেও পৌরসভা থেকে রোকেয়া বেগমের পক্ষে রায় দেয়া হয়। ওই দলিলের ফটোকপি ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিয়ে সত্যতা যাচাইয়ের আবেদন করেন কামরুল ইসলাম। পরে রেজিস্ট্রি অফিসের ভলিয়ম বই দেখে জানতে পারেন রোকেয়াদের কাগজপত্র জাল। এসব কারণে কামরুল ইসলামের এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আরও জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত রেকর্ড কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কামরুল ইসলামদের পক্ষে প্রতিবেদন দেয়া হয়। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালত থেকে কামরুল ইসলামদের পক্ষে রায় দেয়া হয়।
এএইচএম কামরুল ইসলাম বলেন, আমি রায় পাওয়ার পর রোকেয়া বেগমরা জোরপূর্বক জমিটি ভোগ দখল করছে। আমার জমি আমি ফেরত চাই।
এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। আদালতে কামরুল ইসলাম যান না। আদালত থেকে যে রায় দিবে আমরা সেই রায় মেনে নেব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।