সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর সরকার বাড়ি খেয়াঘাটের সিডিউল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুনরায় রি-টেন্ডারের জন্য আবেদন করেছে শ্রী রতন চন্দ্র পাটনী।
জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর সরকারি বাড়ি খেয়াঘাটের ইজারা নিতে দরপত্র ক্রয় করে গোপালপুর গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র চন্দ্র পাটনীর ছেলে শ্রী রতন চন্দ্র পাটনী। অপরদিকে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মওলা সিপন নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে দরপত্র ক্রয় করায়। এমতাবস্থায় রতন চন্দ্র পাটনী দরপত্র দাখিল করতে গেলে তার কাছ থেকে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মওলার নির্দেশে দরপত্র ছিনিয়ে নেয় উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ সায়েম।
রতন চন্দ্র পাটনী বলেন, সায়েম আমাকে হুমকি দিয়ে দরপত্র ছিনিয়ে নিয়ে বলে খেয়াঘাট সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মওলা নিয়ে গেছে। তুই আর সিডিউল দিয়ে কি করবি। রতন চন্দ্র আরো বলেন, আমি দরিদ্র অসহায় হওয়ায় আমাকে হুমকি দিয়ে আমার কাগজ পত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত সায়েমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঘাটের সাথে জড়িত না। আমি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে কেউ ষড়যন্ত্র করছে। রতন চন্দ্র আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল আমি না দেয়ায় হয়তো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি ব্যবসা করি। আমি ঘাট দিয়ে কি করবো।
সাটুরিয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মওলার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। সায়েম আমার লোক না। তবে এখন উপজেলা পরিষদে এসে ঘটনা শুনলাম। রতন চন্দ্র যে তারিখে সিডিউল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ দিয়েছে সেই তারিখে আমি প্রোগ্রামে ছিলাম।
এবিষয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বলেন, এখনো কাউকে ঘাট দেয়া হয়নি। আমি এই খেয়াঘাট পুনরায় রি- টেন্ডার করবো।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আরা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। যদি টেন্ডারের অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।