সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে পৌর বাস টার্মিনাল ইজারার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে দরপত্র অংশ গ্রহণকারী সাব্বির রহমান রাজু।
জানাগেছে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী পৌরসভা থেকে হাট বাজার দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই দরপত্রের আহ্বানে মের্সাস কৌরাইশি ট্রেডার্স ও সাব্বির রহমান রাজু পৌর বাসটার্মিনাল ইজারা নিতে অংশ গ্রহণ করে। এরমধ্যে মেসার্স কৌরাইশী ট্রেডার্স ২১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যে দরপত্র দাখিল করেন ও সাব্বির রহমান রাজু ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যে দরপত্র দাখিল করেন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সাব্বির রহমান রাজু নির্বাচিত হলেও তাকে কার্যাদেশ না দিয়ে পৌর মেয়র ও নির্বাহী প্রকৌশলী পুনরায় রি-টেন্ডার করে।
আজ রবিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর বেল্লাল হোসেনের কাছে এই দরপত্র রি- টেন্ডার বিষয়ে জানতে তার অফিসে যান দরপত্র অংশগ্রহণকারী। কি কারনে দরপত্র রি- টেন্ডার করা হলো জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান। কিন্তু চাপের মুখে তিনি বলেন মেয়রের নির্দেশে আমি রি- টেন্ডার করেছি। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী মেয়রের মুঠোফোন ফোন করে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে প্রকৌশলী দরপত্র অংশগ্রহণকারীকে মেয়রের সাথে দেখা করতে বলেন।
দরপত্র অংশগ্রহণকারী সাব্বির রহমান রাজু বলেন, আমি পৌরসভার আইন মেনে পৌর বাসটার্মিনাল ইজারা নিতে অংশ গ্রহণ করি। মার্চ মাসের ৩ তারিখ সিডিউল ক্রয় করি এবং ২৯ মার্চ সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সিডিউল দাখিল করি। আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হলেও আমাকে কার্যাদেশ না দিয়ে রাতারাতি রি- টেন্ডার করে পৌর কতৃপক্ষ। যা পৌর দরপত্র বহিভূর্ত। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই দরপত্র রি- টেন্ডার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভার কাউন্সিল কবির হোসেন বলেন,আমি টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটিতে আছি কিনা” আমি নিজেই জানি না! তবে আজ আমার হাতে একটা চতুর্থ বারের রি- টেন্ডারের একটা নোটিশ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। রি- টেন্ডার তখনই হয় যখন গত বছরের তুলনায় কম থাকে। কিন্তু এবছর আগের তুলনায় ডাবল রেটে দরপত্র পড়েছে। কি কারণে রি- টেন্ডার করা হয়েছে মেয়র আর প্রকৌশলী জানে।
পৌর মেয়র রমজান আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র দাখিল না হওয়ায় আমি টেন্ডার বাতিল না করে রি- টেন্ডার করেছি। যদি পুনরায় নির্ধারিত সময়ে রি- টেন্ডারের কেউ অংশ গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে রাজুকেই নির্বাচিত করা হবে।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটিতে আমাদের লোকজন না থাকার কারনে বিষয় গুলো সম্পর্কে অবগত নেই। যদি টেন্ডারে অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।