বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে ৩২ রাজনৈতিক মামলার নথি গায়েবের অভিযোগ

জুমবাংলা ডেস্ক : কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কয়েক শত নেতাকর্মীর নামে করা ৩২টি রাজনৈতিক মামলার নথি পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব খন্দকার মাকসুদুর রহমান মাসুদের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরে গ্রুপিং রাজনীতির কারণে জেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে নথি গায়েবের দাবি করেন নেতাকর্মীরা।

বিষয়টি নিয়ে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণে সোমবার দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা।

ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৩২টি রাজনৈতিক মামলার নথি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব খন্দকার মাকসুদুর রহমান মাসুদের নিকট জমা দেওয়া দেওয়া হয়। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপি হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আদালতে আসার কথা। কিন্তু দুঃখের বিষয় রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের প্রতিহিংসার কারণে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কয়েক শত নেতাকর্মীর নামে করা ৩২টি মামলার নথি আদালতে আসেনি। বিষয়টি গত ১৩ জানুয়ারি আদালতের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন।

এই ব্যাপারে জানতে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব খন্দকার মাকসুদুর রহমান মাসুদের মুঠোফোনে বারবার করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। নথি জমা নেওয়া ও কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু কোনো কারণবশত নথিগুলো মিসটেক হয়েছে। বিষয়টি আমি জানার পর ব্যক্তিগতভাবে পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) সঙ্গে কথা বলে নথি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’