জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করছে। তবে এ অবস্থায় ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০ পিচ ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশি মৎস্য ও পাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, চলতি বছর দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ পাঠানোর কোন পরিকল্পনা নেই।
ডিম আমদানি করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো দেশে বাজারে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। বর্তমানে প্রতিটি ডিমের আমদানির খরচ ৭ থেকে ৭.৫০ টাকার মধ্যে থাকছে। বেনাপোল কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে আসা প্রতিটি ডিমের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫ টাকা। কাস্টমস ডিউটি যোগ করলে ডিমের মোট দাম হবে ৭ থেকে ৭.৫০ টাকা। খবর জি ২৪ ঘণ্টার।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই ডিম আমদানি করছে। এই মুহুর্তে কাস্টমস ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছে ট্রাকগুলো। সবুজ সংকেত পেলেই সেসব ডিম চলে আসবে বাজারে । তবে, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে ডিমের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য কোন যন্ত্রপাতি নেই। সুতরাং, ভারতীয় চুক্তির ভিত্তিতে ডিমের ছাড়পত্র দেয়া হবে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বাজারে ইলিশের দাম হু হু করে বাড়ছে। ঢাকায় বর্তমানে ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায়, যা অনেকেরই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগরে ইলিশের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে এবং সরকারের রপ্তানি বন্ধ রাখায় বাজারে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।
এদিকে, ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলোর একপেশে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাংলাদেশিরা মনে করছেন, ভারতীয় সংবাদগুলো অসত্য এবং পক্ষপাতমূলক সংবাদ প্রচার করছে।
দেশের মানুষ এই পরিস্থিতির সমাধান এবং খাবারের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে। মানুষ আশা করছে, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে যাতে খাদ্যের দাম স্থিতিশীল থাকে এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।