প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বরাবরই একটু বেশি। আলুর চিপসের ব্যাপারে একটু বেশিই দুর্বলতা। কালেভদ্রে মচমচে চিপস উপভোগ করাটা খারাপ নয়। কিন্তু স্ন্যাকসের তালিকায় প্রতিদিন প্রায় নিয়ম করে চিপস খাওয়াটা স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে।
প্রিয় সব ধরনের চিপসে অতিরিক্ত লবণ থাকে। তাই চিপস খেলে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মতে, চিপসে থাকা লবণ শরীরে সোডিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা নষ্ট করে। যা শরীরের রক্তচাপ অস্থিতিশীল করে তোলে। এটি বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেল্থ এক্সপার্টদের নিয়ে গড়া একটি দল দিয়েছে খুব খারাপ খবর। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চিপস খাওয়ায় টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকির থাকে। সেয়েদ মোহাম্মদ মুসাভি আলু খাওয়া ও রোগের মধ্যে সম্পর্ক পরীক্ষা করেছেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মুসাভি ১৯৮৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতি চার বছর অন্তর সংগৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের ২,০৫,০০০ স্বাস্থ্য পেশাজীবীর খাদ্যসংক্রান্ত প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করেছেন। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৩ বার চিপস খেলে টাইপ–২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২০% বাড়ে। সপ্তাহে ৫ বার চিপস খেলে ঝুঁকি বেড়ে ২৭% হয়।
সেই তুলনায় সপ্তাহে একই পরিমাণ সিদ্ধ, বেক বা মেশানো আলু খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মাত্র ৫% থাকে। গবেষকরা বলেছেন, আলু সরাসরি স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়। কিন্তু চিপস বানাতে ভাজা— যা সাধারণত তেল, লবণ ও বড় পরিমাণে পরিবেশন করা হয় — ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ায়।
গাজীপুরের পর আশুলিয়ায় সাংবাদিক অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা, গ্রেফতার ২
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আলুর উচ্চ পরিমাণে স্টার্চ থাকার কারণে এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও লোড বেশি হয়। এর সঙ্গে রান্নার পদ্ধতিতে পুষ্টি নষ্ট হওয়া এবং সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি মিলিয়ে এটি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।’