আমার প্রথম প্রায়োরিটি আহত-শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন: পিনাকী ভট্টাচার্য

আহত-শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন

জুমবাংলা ডেস্ক : বিশিষ্ট অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন, আমার প্রথম প্রায়োরিটি আহত আর শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন। আমি জানতাম আমার ব্যক্তিগত সামর্থ্য না থাকলেও সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন আর সাপোর্ট পাবো। আমাকে এখন আর বলতে হয়না, অনেকেই আমার কাছে এসে বলছেন আমি শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নিতে চাই। এইভাবে এর মধ্যেই দশজনের বেশী শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে কেউ না কেউ। আমি মাঝখানে থেকে মেডিয়েট করেছি। জুলাই ফাউন্ডেশন চাইলে আমাকে জানাতে পারে এক দুইজন করে। আমি আশা করি ব্যবস্থা করতে পারবো।

আহত-শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

পিনাকী তার পোস্টে লিখেন, গতকাল বাংলাদেশের এক হস্তশিল্প উদ্যোক্তা দেখা করেছেন আমার সাথে প্যারিসে। উনি শহীদ পরিবারের পাচজনকে উনার পাচ কারখানায় স্থায়ী চাকরি দিতে চান। পাচ কারখানা হচ্ছে, পুবাইল গাজীপুর, পাবনা ঈশরদী, শেরপুর বগুড়া, রংপুর দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়া। এই জায়গার আশেপাশের শহীদ পরিবার হলে ভালো হয়। আমার তরফ থেকে আসল শহীদ পরিবার খুঁজে ভ্যালিডেট করা মুশকিল। জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে একটা রিকমেন্ডেশন আনলে বা আমার সাথে জুলাই ফাউন্ডেশনের কেউ যোগাযোগ করিয়ে দিলে আমি রেফার করে দিতাম। ১৭-৬০ বছর বয়সী কর্মী লাগবে, লেখাপড়া না জানা থাকলেও ক্ষতি নেই। সুস্থ আর কর্মক্ষম হতে হবে।

তিনি লিখেন, আমার অন্য প্রায়োরিটির মধ্যে আছে সরকারকে সাহায্য করা, রাষ্ট্রকে গড়ে তোলার জন্য ভুমিকা রাখা, দুর্বলকে প্রটেক্ট করা, এই অস্থির সময়ে যারা বিপ্লবকে বেচে ধান্দাবাজি করতেছে তাদের রুখে দেয়া, ফ্যাসিস্টদের দৌড়ের উপরে রাখা, অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সাহায্য করা। কিন্তু কোন অবস্থাতেই আমি তদবির করিনা ভাই।

ফোন থেকে মনোযোগ সরাবেন যেভাবে!

পিনাকী আরও লিখেন, ট্রান্সফার, পোষ্টিং, প্রমোশন নিয়ে তদবির করা আমার কাজ না। যদি কেউ তদবির করতে আসেন বঞ্চনার কথা বইলা তাইলে কলে ভাই খবর আছে আপনার। আমি স্ট্রেইট সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারে কইয়া দিবো যে এই মাল্ডা আমার কাছে তদবির কর্ছে।