গত ৮ জুলাই ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার নতুন অ্যাডহক কমিটিতে জায়গা হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের। তবে মাত্র দুই মাসের মাথায় কমিটিতে রদবদল এসেছে। আশরাফুলকে বাদ দিয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নেওয়া হয়েছে! বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন আশরাফুল স্বয়ং!
আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। তার আগেই নির্বাচনী দামামা বেজে উঠেছে। বিশেষ করে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে চলছে তোরজোড়। আশরাফুলকে হঠাৎ বাদ দিয়ে বুলবুলকে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত ইঙ্গিত মনে করছেন অনেকেই।
আশরাফুলের কথাতেও তা পরিষ্কার। আজ বলেছেন, ‘আমাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। আমার জায়গায় বুলবুল ভাইকে নেওয়া হবে, তা আমাকে সংশ্লিষ্টরা আগেই জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি খারাপভাবে নেইনি। ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছি। এছাড়া আমার কাছে মনে হয় বুলবুল ভাই যোগ্য লোক, তাই আমার জায়গায় এসেছেন।’
এরপরই জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘বুলবুল ভাই আমার রোল মডেল। তিনি বিসিবির সভাপতি। সামনে নির্বাচনও করবেন। কাউন্সিলরশিপের জন্য তার কমিটিতে থাকা প্রয়োজন।
তাই আমি স্বাচ্ছন্দ্যে বিষয়টি মেনে নিয়েছি। উনি থাকলে তো ক্রিকেটেরই লাভ। এছাড়া আমি তো নির্বাচন করবো না। কাউন্সিলরও হবো না। সুতরাং এখানে অন্যরকম ভাবার কিছু নেই। ক্রিকেটের জন্য যা ভালো হয় সেটাই হোক।’
তবে এডহক কমিটির মেয়াদ মাত্র দুমাস যেতে না যেতেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়াটা কতোটুকু শোভনীয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে আশরাফুলের সরাসরি উত্তর, ‘ভাই আমি কোচিং নিয়ে আছি।
ওটা নিয়েই থাকতে চাই। ক্রীড়া সংস্থায় বুলবুল ভাই আমার জায়গায় এসেছেন। আশা করছি আমার চেয়ে ভালো কাজ করবেন। আমার বিশ্বাস তিনি পারবেন। তিনি আমার চেয়ে ভালো কাজ জানেন।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শুধু বিভাগ নয় জেলা ক্রীড়া সংস্থায় পরিবর্তন এসেছে। সাবেক নারী ক্রিকেটার ও বর্তমানে আম্পায়ার সাথীরা জাকির জেসির পরিবর্তে যুক্ত হয়েছেন বিসিবির আরেক পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।