জুমবাংলা ডেস্ক : ‘আমার মা ও খালা শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় ছিলেন। তাই প্রজন্মের সন্তান হিসেবে আজ আমি নিজেও গর্ববোধ করছি। আর যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আজ শত বছর উদযাপন হচ্ছে একসময় আমার খালা তার প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এমন একটি বর্ণাঢ্য আয়োজনে অংশ নিতে পেরে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত আমি।
‘ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার শত বছর পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।
চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বছর পূর্তির এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন শতবর্ষী নারী বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সকিনা খাতুন। এ সয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবীণ ও নবীন মিলিয়ে নানা বয়সী কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন।
উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক রূপালী চম্পকের উপস্থাপনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সদস্যসচিব মনিরা আক্তার। অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও দেশে এবং বর্তমান মিলিয়ে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী এই শত বছর উদযাপনে যোগ দেন। শুধু তাই নয়, চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন বেশ কয়েকজন প্রধান ও সহকারী শিক্ষকও অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা শহরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন। পরে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা ও বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে গোটা আয়োজনের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নেচে-গেয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এর আগে শিক্ষামন্ত্রীসহ অন্য অতিথিদের স্বাগত জানান চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণসহ আয়োজনের সঙ্গে জড়িতরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
এদিকে অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার পরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আগামীকালের আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। তাই এই দেশের গণতন্ত্র রক্ষা, সমৃদ্ধি সব কিছু নির্ভর করছে এই কাউন্সিলকে ঘিরে। কারণ, এই আওয়ামী লীগ বাঙালির মায়ের মুখের ভাষা, স্বাধীনতা, ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারও নতুন বছরের শুরুতে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে যাবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।