আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নোবেলজয়ী নন বলে দাবি করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তার এমন মন্তব্যের পর শুক্রবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ। সাংবাদিকদের মুখে উপাচার্যের কথা শুনে তিনি হেসেই ফেললেন।
গত সোমবার বিকালে শান্তিনিকেতনে ফেরার পর মঙ্গলবার অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়ে আবার জমি ফেরত চায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শতাংশ জমি অমর্ত্য সেনের দখলে রয়েছে। দ্রুত সেই জমি ফিরিয়ে দিতে হবে।
এর কয়েক দিন পরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দাবি করেন, অমর্ত্য সেন নোবেলজয়ী নন। সে বিষয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
উপাচার্য বলেন, নোবেলের যে উইল তৈরি হয়েছিল সেই অনুযায়ী চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও বিশ্বশান্তি–এ পাঁচটি বিষয়ে নোবেল দেওয়া হয়ে থাকে। পরে সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অর্থ দিয়ে অর্থনীতিতে পুরস্কার চালু করে। এ পুরস্কারের নাম ব্যাঙ্ক অব সুইডেন প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্স ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল। তাই তাকে নোবেল পুরস্কার বলা যাবে না বলেই দাবি উপাচার্যের।
তবে তার এমন মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। অমর্ত্য সেনের নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে যে দাবি করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তা অনেকেই সমর্থন করেননি। তাদের বক্তব্য, নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে নোবেলজয়ীদের তালিকায় অমর্ত্য সেনের নাম রয়েছে। সেখানে আর কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না।
উপাচার্যের এ দাবির প্রেক্ষিতে অমর্ত্য অবশ্য কিছুই বলতে চাননি। উপাচার্যের মন্তব্য তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হলে হাসতে হাসতে এই নোবেলজয়ী বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নেই।
জমি দখলে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, লিজের বাইরেও আমার বাবা কিছু জমি কিনেছিলেন। তার বাইরে আর কোনো জমি কেনা হয়নি। উনি কোন জমির তথ্য দিচ্ছেন, তা জানার আগ্রহ রয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।