আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আম্বানী বাড়ির নতুন বৌ রাধিকার পরনের একটি লেহঙ্গা বিশেষ ভাবে ঝড় তুলেছে। কারণ, সেটি গোটাটাই হাতে আঁকা। এঁকেছেন বাঙালি শিল্পী জয়শ্রী বর্মণ। ভারতীয় গণমাধ্যমে তিনি বললেন ওই লেহঙ্গা তৈরির কাহিনি।
আম্বানী -বধূ রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের এক এক দফা সাজ নিয়ে রোজই চলছে হইচই। তার মধ্যে বিশেষ একটি লেহঙ্গা নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। সে লেহঙ্গায় আঁকা রয়েছে রাধিকা আর অনন্ত অম্বানীর প্রেমের কাহিনি। গোটাটা হাতে আঁকা। তা পরেই বিয়ের পরদিন দেশ-বিদেশের খ্যাতনামীদের আশীর্বাদ নিতে বসেছিলেন অম্বানী বাড়ির নতুন বৌমা।
সঙ্গে সঙ্গে লেহঙ্গার ছবি ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে। জৌলুসের বিয়েতে এমন শৈল্পিক ছোঁয়া প্রশংসিতও হয় যথেষ্ট। তার সঙ্গেই উঠে আসে শিল্পীর নাম, যিনি গোটা লেহঙ্গার উপরে ছবি এঁকেছেন একা হাতে। সেই শিল্পী বাঙালি। কলকাতার জন্ম ও বড় হওয়া। নাম জয়শ্রী বর্মণ।
মাত্র এক মাস সময় ছিল লেহঙ্গাটি বানানোর জন্য। ফলে দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে জয়শ্রীকে। শিল্পী বলেন, ‘‘এক এক দিন তো ১৬ ঘণ্টাও কাজ করেছি। যতখানি কাজ, সে তুলনায় হাতে কম সময়ই ছিল।’’
একেবারে ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে রাধিকার লেহঙ্গা। জয়শ্রী বলেন, ‘‘ইটালিয়ান ক্যানভাসে এঁকেছি। মোট ১২টা প্লেট তৈরি করেছি হাতে এঁকে এঁকে। তার পরে সেলাই করা হয়েছে।’’ এ ছাড়াও তিনি লেহঙ্গার সঙ্গে পরার ওড়নার পাড় এঁকেছেন। এঁকেছেন বেল্টেও। সব মিলে গোটা একটি মাস, দিনরাত এক করে কাজ করেছেন।
তবে তাঁর শিল্পের যোগ্য সম্মানও পেয়েছেন বলেই মনে করেন জয়শ্রী। তিনি বলেন, ‘‘পারিশ্রমিক তো সকলেই দেন, কিন্তু সম্মান সবাই দিতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে যোগ্য সম্মান পেয়েছে আমার কাজ।’’ লেহঙ্গা শেষ হওয়ার পরে তো হাতে লেখা চিঠি পেয়েছেনই শিল্পী, তবে তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন, রাধিকা যে অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর শিল্প বেছে নিয়েছেন, তা দেখে।
ছবিটি জুম করে দেখুন একটি শব্দ লুকিয়ে আছে খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিন
জয়শ্রী বলেন, ‘‘প্রথমে এই লেহঙ্গাটা বিয়েতে পরার কথা হয়েছিল। কিন্তু পরে ঠিক হয়, পরের দিন যখন সকলে আশীর্বাদ করবেন, তখন রাধিকা পরবেন এই লেহঙ্গা।’’ যে অনুষ্ঠানে রাধিকা জয়শ্রীর তৈরি লেহঙ্গা পরেন, সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা ছিলেন। শিল্পী মনে করেন, উপযুক্ত দিনে পরা হয়েছে তাঁর তৈরি পোশাক।
সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।