বিনোদন ডেস্ক : প্রাক্তন স্বামী ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ তারকা জনি ডেপের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর কয়েক মাস ধরে আড়ালেই ছিলেন ‘অ্যাকুয়াম্যান’ অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড; এবার সেই নীরাবতা ভাঙলেন নতুন সিনেমার খবর দিয়ে।
নতুন সিনেমা ‘ইন দ্য ফায়ার’ এ দেখা যাবে ৩৭ বছর বয়সী অভিনেত্রীকে।
মার্কা জানিয়েছে, সিনেমায় ১৯৮৮ সালের একটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে অভিনয় করছেন অ্যাম্বার হার্ড। সেখানে এক বালককে সুস্থ করে তুলতেই দৃঢ় চেষ্টা চালিয়ে যান তিনি। যদিও কলাম্বিয়ার স্থানীয় সম্প্রদায় মনে করে সেই ছেলেকে শয়তানে বা ভুতে ধরেছে।
এই অভিনেত্রী জানান, ডিসি এক্সটেন্ডেড ইউনিভার্সে আবারও ফিরতে পেরে বেশ সম্মানিত বোধ করছেন। তবে কাজে ব্যাপক চাপেরও বিষয়টিও স্বীকার করেছেন তিনি।
“এ ধরনের বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি সিনেমাগুলোতে বিশাল চাপ থাকে। লাখ লাখ ডলারের ঝুঁকি থাকে। ফলে আপস করে হলেও সেটিকে সবথেকে সফল করার চেষ্টা করা হয়।”
প্রায় ২০০ দিন পর ইনস্টাগ্রামে ইতালির তাওরমিনা ফিল্ম ফেস্টিভালে যোগ দেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করেছেন অ্যাম্বার হার্ড।
ক্যাপশনে লিখেছেন, “কী দুর্দান্ত সংবর্ধনা! আমার ভক্ত-অনুরাগীদের অনেক ধন্যবাদ। বড্ড আপ্লুত আমি।”
২০১৮ সালে অ্যাকুয়াম্যান সিনেমায় অভিনয় করেন অ্যাম্বার হার্ড। প্রথম সিনেমা থেকে তিনি ২০ লাখ ডলার আয় করেন।
পরে অ্যাকুয়াম্যান সিক্যুয়েলে তার ফেরার খবরে বিতর্ক শুরু হয়, যখন তিনি তার সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।
ভক্তদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে ২০১৫ সালে ঘর বেঁধেছিলেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড, কিন্তু দুই বছরের মধ্যে ঘটে তাদের বিচ্ছেদ।
২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে এক নিবিন্ধে নিজেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হিসেবে তুলে ধরেছিলেন হার্ড। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন ডেপ। তার পাল্টায় ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন হার্ড।
গত বছরের ২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি আদালত সিদ্ধান্ত দেয়, পরস্পরের মানহানি করেছেন দুই অভিনেতাই। সেজন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ডেপকে ১ কোটি ৩ লাখ ডলার দেবেন হার্ড। আর ক্ষতিপূরণ হিসেবে হার্ড পাবেন ২০ লাখ ডলার।
ওই রায়ের ছয় মাস পর ডেপের সঙ্গে আপস রফার পথে হাটেন হার্ড। সে সময় তিনি লেখেন, “অনেক চিন্তা-ভাবনার পর তিনি আপস নিষ্পত্তির এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
“বলা দরকার, এই পথে আমি আসতে চাইনি। আমি আমার সত্য রক্ষা করেছি, আর এটা করতে গিয়েই আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।