আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বনবী হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মা-সহ দুই বিজেপি মুখপাত্রের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামিক দেশগুলির পর আমেরিকা পয়গম্বর বিতর্কে আসরে নামায় কিছুটা হলেও চাপ বাড়ল ভারতের উপর। যদিও বিজেপি যেভাবে দুই পদাধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তার প্রশংসাও করেছে বাইডেন প্রশাসন।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইসের বক্তব্য, আমরা বিজেপির দুই পদাধিকারীর মন্তব্যের নিন্দা করছি। তবে একই সঙ্গে আমরা এটা দেখে খুশি যে প্রকাশ্যে বিজেপির তরফে এই মন্তব্যের নিন্দা করা হয়েছে। নেড আরও জানিয়েছেন, ভারতে মানবাধিকার রক্ষা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আমেরিকা নিয়মিত ভারত সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমরা মানবাধিকার রক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে উৎসাহিত করছি।
যদিও এই প্রথম নয়। ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার তথা মানবাধিকার নিয়ে আগেও সরব হয়েছে আমেরিকা। জুনেই আমেরিকার (USA) স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে ভারতকে নিশানা করা হয়। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারতকে নিশানাও করেন। তিনি বলেন, ভারতের ধর্মস্থানগুলি আক্রান্ত হচ্ছে। এই হামলার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ভারতীয় আধিকারিকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে এই হামলা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকেন। যদিও আমেরিকার পেশ করা সেই রিপোর্ট তখনই খারিজ করে দেয় ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু নূপুর শর্মা বিতর্ককে হাতিয়ার করে নতুন করে আমেরিকার সরব হওয়াটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিপূর্বেই ইসলামিক দেশগুলি বিজেপির দুই মুখপাত্রের মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছে। তারপর আবার আমেরিকা সরব হওয়ায় কূটনৈতিক ক্ষেত্রে চাপ বাড়তে পারে নয়াদিল্লির উপর।
শেষ ইচ্ছা জানালেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।