আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন মুলুকের ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সমর্থক জিয়ানহা ব্র্যায়ান্টকে অ্যাম্বাসাডর করেছে প্রসাধনী কোম্পানি ডাভ। ব্রায়ান্টের সাথে ডাভের অংশীদারিত্ব টেসলার মালিক ইলন মাস্কসহ আমেরিকার এক বিশাল সংখ্যক মানুষের মধ্যে কড়া প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে ‘ডাভ বয়কট’।
জায়ানহা ব্রায়ান্টের বিরুদ্ধে এর আগে একটি শ্বেতাঙ্গ ছাত্রীর জীবনকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগ ছিলো। তার ভুল অভিযোগে এক শ্বেতাঙ্গ ছাত্রী মর্গ্যান বেটিংগারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড করা হয়।
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ অ্যাক্টিভিস্টের সাথে ডাভের সর্বশেষ প্রচারাভিযান সমালোচনার মুখে পড়েছে, কিছু অনুগত-গ্রাহক দাবি করেছে যে তারা ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করা বন্ধ করবে। এ প্রসঙ্গে মাস্ক তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লিখেছেন-‘জিয়ানহা ব্রায়ান্ট একটি শ্বেতাঙ্গ মেয়ের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন একটি ভিত্তিহীন মন্তব্যের জন্য। ডাভ ‘ফ্যাট লিবারেশন’ সমর্থন করার জন্য তার সাথে একটি ব্র্যান্ড অংশীদারিত্ব করেছে। এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত।
লোকেরা ডাভ পণ্যগুলি বয়কট করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে শুরু করেছে। একজন নারী একটি ছবি দিয়েছেন যাতে দেখা যাচ্ছে সাবানের বারগুলির তিনি আবর্জনার বাক্সে ফেলে দিচ্ছেন। ক্যারোল থর্প নামের ওই নারী জানাচ্ছেন, তাদের ‘ফ্যাট অ্যাকসেপ্টেন্স অ্যাম্বাসেডর’-এর জন্য ডাভ বিউটি জিয়ানহা ব্রায়ান্টকে বেছে নিয়েছে – যিনি মরগান বেটিংগারের জীবনকে ধ্বংস করেছিলেন-একজন গ্রাহক হিসেবে আমি আর কখনো ডাভ সাবান ব্যবহার করবো না।
জিয়ানহা ব্রায়ান্ট তার সহকর্মী ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মরগান বেটিংগারকে ২০২০ সালের শার্লটসভিলের সমাবেশে অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন। তার দাবি ছিল, ওই পড়ুয়া ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনকারীদের ‘গুড স্পিড বাম্পস’ বলে গালি দিয়েছেন।
অর্থাৎ কার্যত ইঙ্গিত করেছেন আন্দোলনকারীদের গাড়িচাপা দেয়ার। কিন্তু পরে জানা যায়, ওই তরুণী এমন কিছু বলেননি। বেটিংগার একজন কলেজ ছাত্রী এবং একজন মৃত পুলিশ অফিসারের মেয়ে ছিলেন। ব্রায়ান্ট বেটিংগারকে ক্যাম্পাস থেকে সাসপেন্ড করার জন্য প্রচারণা চালান এবং বেটিংগারের রেকর্ড দেখায় যে তিনি তার মন্তব্যের জন্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সম্মুখীন হয়েছেন। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।