জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে আগের অবস্থানেই রয়েছে আমেরিকা। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন। আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বাংলাদেশের নির্বাচন ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে জন কিরবির কাছে জানতে চান মুশফিকুল ফজল নামের এক সাংবাদিক। এর জবাবে জন কিরবি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে আগের অবস্থানেই আছে আমেরিকা। তবে ড. ইউনূসের ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
জন কিরবি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের ব্যাপারে সমর্থন জানাই। আমরা বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাকেও সমর্থন করি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করি। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থানের কোনও কিছুই পরিবর্তন হয়নি।’
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমেরিকা অব্যাহতভাবে সেই আকাঙ্ক্ষা সফল করার চেষ্টা করবে।’
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের নীতি-নির্ধারকদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্রায়ই এসব দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। এমনকি ভারতও বিভিন্ন কথা বলছে।
এর আগে গত মে মাসে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা করে আমেরিকা। এই নীতির আওতায় যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়; তাহলে আমেরিকা তাকে ভিসা দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।