আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রবিবার (২৬ জানুয়ারি) কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির নির্দেশ দেন। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কলম্বিয়ার ওপর আরোপিত শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পেত্রো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, পররাষ্ট্র বাণিজ্য মন্ত্রীকে মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছি। এ সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং তা স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কলম্বিয়া থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পাশাপাশি কলম্বিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা বাতিলের ঘোষণা দেন। এটি তখনই কার্যকর করা হয়।
ট্রাম্প তার প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে বলেন, আমি জানতে পেরেছি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বহনকারী দুটি বিমানের কলম্বিয়ায় অবতরণ করতে দেওয়া হয়নি। এই নির্দেশ দিয়েছেন কলম্বিয়ার সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো, যিনি তার দেশের মানুষের মধ্যেও খুবই অজনপ্রিয়। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও জনসুরক্ষার জন্য হুমকি তৈরি করেছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার জবাবে পেত্রো রবিবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ান অভিবাসীদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করতে পারে না। আমি মার্কিন বিমানের মাধ্যমে কলম্বিয়ান অভিবাসীদের আমাদের দেশে ফেরত পাঠানোর অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছি।
তিনি আরও বলেন, কলম্বিয়ান অভিবাসীদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার জন্য তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশটির প্রেসিডেন্টীয় বিমান পাঠিয়ে কলম্বিয়ানদের হন্ডুরাস থেকে ফেরত আনার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
পেত্রো মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওর মন্তব্যের জবাবে বলেন, আমি কখনো হাতকড়ায় বাঁধা অবস্থায় কলম্বিয়ানদের দেশে ফেরত আসতে দেব না। আমি স্বাধীনতার পক্ষে, শৃঙ্খলের নয়।
১০-২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা প্রদানের আহ্বান পিনাকী ভট্টাচার্যের
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন এক পোস্টে বলেন, কলম্বিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলোকে সতর্ক থাকা উচিত। যারা অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে না, তাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
এ পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র ও কলম্বিয়ার মধ্যে সম্পর্ককে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।