আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভিয়েতনাম যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গোপণ নথি ফাঁসকারী ড্যানিয়েল এলসবার্গ মারা গেছেন। অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (১৬ জুন) ৯২ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার কেনসিংটনে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সাবেক এ এনালিস্ট পেন্টাগন পেপারস ফাঁস করে দেন। এ কারণে তাঁকে বলা হয় ‘যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি’।
নিক্সন প্রশাসন নিউইয়র্ক টাইমসে পেন্টাগন পেপারসের প্রকাশনা বন্ধের চেষ্টা করার পর এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। তবে এলসবার্গের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ শেষ পর্যন্ত খারিজ হয়ে যায়।
ডেনিয়েল এলসবার্গের মৃত্যুর খবর জানিয়ে এক বিবৃতিতে তার পরিবার বলছে, ড্যানিয়েল ছিলেন সত্যান্নেষী এবং সত্য বলা একজন দেশপ্রেমিক। তিনি যুদ্ধবিরোধী একজন অ্যাকটিভিস্ট, একজন দায়িত্বশীল বাবা, স্বামী, দাদা, সবার খুব কাছের বন্ধু। অনেকের কাছেই তিনি অনুপ্রেরণার নাম।
দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা করে আসছেন ড্যানিয়েল এলসবার্গ। বিশেষ করে প্রশাসনিক কাজে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, একদিন বাথরুমে বসে হুট করেই ড্যানিয়েল এলসবার্গের মাথায় আসে যুদ্ধবিরোধী চিন্তাভাবনা। এরপর তিনি যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য তাঁকে অনেক বাধা পেরোতে হয়। তাঁর ফাঁস করা নথিতে ৭ হাজার পৃষ্ঠা ছিল।
গত মার্চে এলসবার্গ জানান, তিনি অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসক বলে দিয়েছেন, ৩-৬ মাস বাঁচবেন।
আল জাজিরা বলছে, ষাটের দশকের মাঝামাঝি এলসবার্গকে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভিয়েতনামে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থান করার সময় তিনি কাছ থেকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ দেখেন। তার মনে হয়েছিল, মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষে এ যুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়।
ড্যানিয়েল এলসবার্গের প্রচেষ্টায় ১৯৭১ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন সরকারের মিথ্যাচারের তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।