বিনোদন ডেস্ক : অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসকে ভালোবেসে প্রথম সংসার শুরু করেছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। ২০১০ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। তাদের সাড়ে সাত বছরের সংসার ছিল। এরপর পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাঞ্চন। গত ১০ জানুয়ারি ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা।
দ্বিতীয় সংসার ভাঙার এক মাসের মাথায় অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করেন ৫৩ বছর বয়সি কাঞ্চন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ বছর বয়সি এই অভিনেত্রীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন তিনি। এরপর সামাজিক রীতি মেনে ২৬ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে ঘরে তুলেন কাঞ্চন। এ জুটির পরকীয়া প্রেম-বিয়ে নিয়ে চর্চা কম হয়নি। এবার এ দম্পতি একসঙ্গে সাক্ষাৎকার দিলেন।
একটি চ্যাট শোয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, ‘যে সময়টা আমি ফেলে এসেছি, সেটা নিয়ে সত্যি বলতে কোনো দ্বিধা নেই, আমি এমন একটা ফেজের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, যেসময় শ্রীময়ী আমার পাশে ছিল। আমি একসময় চেইন স্মোকার ছিলাম, অ্যালকোহলিক ছিলাম। বর্তমানে আমি নন স্মোকার, নন অ্যালকোহলিক (মদ্যপান-ধূমপান করি না)। এটার জন্য আমার যদি ২৫ শতাংশ চেষ্টা থাকে, তাহলে শ্রীময়ী ৭৫ শতাংশ চেষ্টা রয়েছে। আমার ইলেকশন ক্যাম্পেইন থেকে শুরু করে, সবসময়, সব কাজে পাশে ছিল শ্রীময়ী। আমি ঘুরতে যেতাম না, তবে আজ আমি লাদাখ গিয়েছি, মানালি গিয়েছি, যেসব জায়গায় আমি বাপের জন্মে যাইনি। এখন আমি মি টাইম কাটাই।’
এরপর মুখ খুলেন শ্রীময়ী। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘যেকোনো পুরুষের জীবনে একজন নারী খুব প্রয়োজন, যে খুব ভালো বন্ধু। যে তাকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারে। আমিও বন্ধু হিসেবে ওর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি দেখেছি যখন পশ্চিমবঙ্গে কোণায় কোণায় ফাংশন হয়। এমনও সময় গিয়েছে যে, রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কাঞ্চন মল্লিকের জন্য লোক বসে থাকেন, ওকে দেখার জন্য ১০-১৫ হাজার লোক বসে থাকেন। সবচেয়ে বড় কথা ও মানুষকে হাসায়। আমি একটা সময় দেখেছি, শিল্পীর মুখ থেকে হাসিটাই কেড়ে নিলো, মানে চলে গেল। আমি কাঞ্চন মল্লিককে দেখেছি একা বালিশে, একা ঘরে কাঁদতে। সেখানে আমি বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছি মাত্র।’
স্ত্রীর কথা শেষ হওয়ার পর ফের বলতে শুরু করেন কাঞ্চন মল্লিক। নিজেকে ত্যাঁদড় দাবি করে এই কমেডিয়ান বলেন, ‘আমি একটু ত্যাঁদড় টাইপের মানুষ। কথায় বলে না, বুনো ওলের সঙ্গে বাঘা তেঁতুল দরকার, তো আমি হলাম বুনো ওল, এই বুনো ওলকে বাঘা তেঁতুল (শ্রীময়ীকে দেখিয়ে) ছাড়া থামাতে পারবে না। আমি নিজেকে চিনি, আমাকে এই বাবু বলে হয় না। আমাকে এই চপ-ই বলতে হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।